ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১

শ্রীপুরে বসতবাড়ী দখল চেষ্টার প্রতিবাদে কৃষকের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শ্রীপুর, গাজীপুর

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

শ্রীপুরে বসতবাড়ী দখল চেষ্টার প্রতিবাদে কৃষকের সংবাদ সম্মেলন

গাজীপুরের শ্রীপুরে বসতবাড়ী দখল চেষ্টা, ডিবি পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, প্রাণনাশের হুমকি বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদসহ ছেলে সেলিমের রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কৃষক আব্দুল মোতালেব (৭৫) সোমবার (২৮ আক্টোবর) বেলা ১১ টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (দারগারচালা) এলাকার নিজ বাড়ীতে তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

কৃষক আব্দুল মোতালেব শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (দারগারচালা) এলাকার মৃত হাবিজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করেন, তিনি দারগারচালা এলাকার বসতবাড়ী পৈত্রিক ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল করে আসছেন। দীর্ঘদিন যাবত শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট গ্রামের বাসিন্দা কবির তালুকদার তাঁর স্ত্রী হাসনা হেনা কৃষকের বসতবাড়ীটি বিভিন্নভাবে দখলের চেষ্টা করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী সম্প্রতি স্থানীয় কিছু  সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা তথ্য,জমির মালিকানা কাগজপত্রের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমাকে আমার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করে মানহানি করছে।

তারা আমাকেসহ পরিবারের লোকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাছাড়া আমার এক ছেলে সেলিম আহমেদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) রাজনীতির সাথে জড়িত এবং শ্রীপুর পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক। তার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধেও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে কবির তালুকদার তাঁর স্ত্রী হাসনা হেনা।

আমি ওইসব চক্রান্ত, অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি অভিযোগ করেন,গত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অভিযুক্ত কবির তালুকদার গাজীপুরের কালীন পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের (ডিবি হারুন) সহযোগীতায় আমাকেসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। ওই মামলায় আমার ছেলে ২৯ দিন কারাভোগ করে।

অভিযুক্ত কবির তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় এসব বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

×