ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১

পর্যটন ব্যবসায় ধস, শ্রমিক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

পর্যটন ব্যবসায় ধস, শ্রমিক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন

পর্যটন এলাকা

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে খাগড়াছড়ি জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট হাজারের অধিক শ্রমিক-কর্মচারী-ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়েছে। কাজ না থাকায় তাদের আয় নেই বললেই চলে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারী-ব্যবসায়ীদের দাবি পার্বত্য জেলাগুলো থেকে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক।

গত সেপ্টেম্বর মাসে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার পর দুই জেলা প্রশাসন আগামী ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত দুই পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এরপর থেকে খাগড়াছড়িতে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায়।পর্যটক না আসায় খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক চলাচলের অন্যতম ছোট বাহন ডিজেল চালিত থ্রি-হুইলার চালকরা বিপাকে পড়েছে। তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, রোজগার কমে গেছে।

একজন থ্রি হুইলার চালক বলেন, সাজেক ভ্রমন করতে গেলে খাগড়াছড়ি অথবা দীঘিনালা থেকে পিকআপ বা জীপ গাড়িতে যেতে হয়। প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াইশত পিকআপ বা জীপ সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক নিয়ে যেত। পর্যটক ভ্রমন নিষেধাজ্ঞার কারনে সেই গাড়িগুলো অলস দিন কাটাচ্ছে। গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার মিলে হাজারের অধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পাঁচ শতাধিক গাড়ির মালিক পুজিঁ বিনিযোগ করেও কোনও অর্থ উপার্জন করতে পারছে না। তারা ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে হিমসিম খাচ্ছে।

 পার্বত্য যানবাহন সমিতি, খাগড়াছড়ির সভাপতি আয়ুচ শান্তি চাকমা বলেন, ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসতে পর্যটকদের আকর্ষণ ছিল বিলাসবহুল এসি বাস। প্রায় ৮-৯টি কোম্পানীর এসি বাস প্রতিদিন চলাচল করত। পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই এসি বাসগুলোর চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই খাতের শ্রমিকরাও মানবেতর জীবনযাপন করছে।

 পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দাবি যেসব কারণে পর্যটক ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। এখন পর্যটনের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। তাই পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক বা নিষেধাজ্ঞা আর যেনও জারি করা না হয়।

শহিদ

×