শিক্ষা কর্মকর্তা
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পুরান লাউড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে একজন নারী শিক্ষকের পোষাক ও রুচিবোধ নিয়ে কটুক্তি করেন উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শেখ। যা তিনি ফেসবুক লাইভে গিয়ে প্রচারও করেন। এদিকে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডে তাঁকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ স্থানীয় শিক্ষকরা।
যদিও নেটিজেন ও শিক্ষকদের তোপের মুখে একপর্যায়ে ভিডিওটি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেন তিনি। তবে শিক্ষকরা বলছেন, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে এর আগেও নারী শিক্ষকদের প্রতি অশালীন আচরনের নানা অভিযোগ রয়েছে। এতকিছুর পরও তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
ঘটনার দিন বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ক্লাস চলাকালীন কামরুজ্জামান শেখ ওই বিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষককে উদ্দেশ্যে করে ভিডিওতে বলেন “আমি হতাশ হইলাম প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষকের এই গেটাপ দেখে, সারাদেশে ১০ম গ্রেডের শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে, আমি আন্দোলনের পক্ষে। কিন্তু এই শিক্ষকের এই গেটাপ কেন, কিভাবে তা ধারন করবে, ১০ম গ্রেড তো দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা, তাকে তো গেটাপ, রুচিতে, ভাবে-ভঙ্গিতে, পোশাকে এগিয়ে আসতে হবে। আপা, আপনি আরও একটু পরিমার্জিত পোশাক পড়বেন।” এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষাকর্মকর্তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, একজন অসুস্থ ম্যাডামকে নিয়ে এমন কটুক্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এ ঘটনায় ওই শিক্ষাকর্মকর্তা পুরো নারীজাতিকে অবমাননা করেছেন। ওই শিক্ষাকর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিভাগীয় ব্যবস্থা না নিলে আমরা শিক্ষক সমাজ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহনলাল দাস বলেন, এঘটনায় অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষা কর্মকার্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। তাহিরপুরের শিক্ষক সমাজ ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছে এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, অপসারণের এখতিয়ার তো আমার হাতে নেই। এটি আরও উপরের কর্মকর্তাদের বিষয়।
ইসরাত