ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১

তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে ভিটেমাটিহীন শত শত পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

প্রকাশিত: ১০:৫১, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে ভিটেমাটিহীন শত শত পরিবার

ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। 

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নে তেঁতুলিয়া নদী ভাঙনে ভিটেমাটিহীন শত শত পরিবার। অব্যাহত ভাঙনে জিরাইল ও পাটকাঠি এই দুই গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। 

বর্ষা মৌসুমে ভয়াল রুপ ধারণ করেছে তেঁতুলিয়া নদী। এতে নতুর করে হুমকির মুখে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী ২ টি গ্রাম। এখন তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীর পাড়ের মানুষ। ৩ কিলোমিটারের অধিক এলাকা জুড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জিরাইল বাজার হতে পাটকাঠি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ভেরি বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। জিরাই বাজারসহ অন্তত দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের মুখে। বর্তমানে ভাঙনের মুখে পড়েছে দুই গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি। এতে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে শত শত মানুষ।এর আগে ২০১৬ সালে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম দুর্গাপাশা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষণিক সেনেরহাট বাজার হয়ে ৭ কিলোমিটার ভেরি বাঁধ রক্ষায় ৭ শত ১২ কোটি  টাকা বরাদ্দ দেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে তিনি  আরো ৩ কিলোমিটার ভেরি বাঁধ রক্ষায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় যাহার কাজ চলমান রয়েছে। 

দুর্গাপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বাশার সিকদার জানায়, আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সহায়তায় আমার প্রচেষ্টায় ১০ কিলোমিটার ভেরি বাঁধ রক্ষায় ইউনিয়নে ১ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছি যাহার কাজ চলমান। বিগত সময়ের তুলনায় এই বছর তেতুলিয়া নদীর ভাঙন তীব্রতা অনেক বেশি, এখন জিরাইল ও পাটকাঠি দুই গ্রামে প্রতিদিনই ফসলি জমিসহ ভেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই দুই গ্রাম রক্ষা করতে হলে আরো বরাদ্দের দরকার। 

বরিশাল পওর বিভাগ, বাপাউবো বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলিদ বলেন, দুর্গাপাশা ইউনিয়নে ১০ কিলোমিটার ভেরি বাঁধ রক্ষায় কাজ চলমান রয়েছে। দুই গ্রাম রক্ষার ৩ কিলোমিটার ভেরি বাঁধ এখনো ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। সরজমিন পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এসআর

×