দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট রক্ষায় ফেলা হচ্ছে জিওব্যাগ
ভাঙন আতঙ্কে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট। আতঙ্কে রয়েছে ঘাট এলাকার প্রায় দুই সহ¯্রাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও কয়েক হাজার বসতবাড়ী। ভাঙনের কারণে দৌলতদিয়া ঘাট ছোট হয়ে আসছে প্রতিনিয়ত। তবে নদীভাঙন রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ দেখা মিলছে না। ভাঙন চলাকালীন বালুভর্তি জিওব্যাগ নদীতে দিয়ে গুরু দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
লঞ্চ ও ফেরিঘাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন বছর পূর্বে দৌলতদিয়া পারের ১ ও ২নং ফেরিঘাট নদীতে চলে যায়। এক বছর পূর্বে ৫নং ফেরিঘাট নদীভাঙনের কবলে পরে বিলীন হয়। ৬নং ফেরিঘাট নদী ভাঙনের কারণে অর্ধেক অংশ ভেঙে যায়। ৩ ও ৪নং ঘাটের কিছু অংশ নদীতে চলে যায়। বর্তমান ৩, ৪ ও ৬নং ফেরি ঘাটের মাত্র একটি করে পকেট সচল রয়েছে। ৭নং ফেরিঘাটের তিনটি পকেট সচল রয়েছে। নদীতে নাব্য সংকটের কারণে গত তিনদিন যাবৎ ৭নং ফেরিঘাট বন্ধ। তবে ৭নং ফেরিঘাটে ২টি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং করা হচ্ছে। ১/২ দিন পর সচল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দৌলতদিয়া পারের লঞ্চঘাট ¯্রােতের কারণে ভাঙন আতঙ্গে রয়েছে। দৌলতদিয়া অবস্থিত লঞ্চ ও ফেরিঘাট রক্ষার্থে সময়মতো উদ্যোগ না নেওয়া হলে যেকোনো সময় নদীতে চলে যেতে পারে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, প্রচ- ¯্রােতের কারণে ঘাটের পন্টুনে লঞ্চ রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ঘাটের পাশ দিয়ে নদীভাঙন দেখা যাচ্ছে। তিনি জানান, ঘাট রক্ষার্থে সময়মতো উদ্যোগ না নেওয়া হলে যেকোনো সময় লঞ্চঘাট নদীতে চলে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, শুধু ঘাট নয়, ঘাটের পাশে বহু বসতি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো নদীতে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
৭নং ঘাট এলাকায় বসতি আরিফ নামের এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিবছর নদীভাঙনের কবলে পরতে হয়। এবারও ৬ ও ৭নং ফেরিঘাট এলাকায় নদীভাঙনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি নদীতে চলে যায়। তিনি আরও বলেন, নদীভাঙন থেকে লঞ্চ ও ফেরিঘাট রক্ষার্থে শুধু বালুভর্তি জিওব্যাগ দিয়ে দায়িত্ব পালন করেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তবু সময়মতো বালুভর্তি জিওব্যাগ নদীতে দেওয়া হয় না। বরং নদীতে ভাঙন শুরু হলে তখন তড়িঘড়ি করে জিওব্যাগ ফেলতে দেখা যায়। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম নুরাল বলেন, মাত্র দুইবার নদীভাঙনের কারণে গৃহহীন হয়েছি।
স্থায়ীভাবে দৌলতদিয়া ঘাট রক্ষা না করলে যেকোনো সময় দৌলতদিয়া লঞ্চ ও সকল ফেরিঘাট নদীতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং দৌলতদিয়া ঘাট রক্ষার্থে এখনি স্থায়ীভাবে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর আরিচা শাখার নির্বাহী প্রকৌলশী নেপাল কুমার দেবনাথ জানান, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে প্রত্যেকটি ফেরিঘাট রক্ষার্থে বিআইডব্লিউটিএ কাজ করছে। ১ ও ২নং ফেরিঘাট এলাকায় নদীভাঙন রোধ করতে বালুভর্তি জিওব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি লঞ্চঘাট প্রত্যোকটি ফেরিঘাট ভাঙনরোধ করার জন্য আমরা স্বার্বক্ষণিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।