মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে 'পুলিশ পরিচয়ে' সড়কে বাস থামিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের মরিচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । এ সময় ডাকাতরা রামপ্রসাদ হাওলদার (৫০) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪৭ লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়।
এ ঘটনায় এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বাস যাত্রীরা । রামপ্রসাদ হাওলদার ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার হাছনাবাদ গ্রামের মৃত ফালান হাওলাদেরর পুত্র। নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাজারে ‘রামপ্রসাদ স্বর্ণালংকার’ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বুধবার ঢাকার তাতী বাজারে স্বর্ণ বিক্রি করে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা নবকলি পরিবহনের বাসটি উপজেলার মরিচা এলাকায় আসলে ৫ জন ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে বাসটির গতিরোধ করে। ডাকাত দল গাড়িতে উঠে স্বর্র্ণ ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ হাওলাদারকে মামলার আসামী বলে টেনে হিচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে এবং তার কাছে একটি ব্যাগের মধ্যে থাকা নগদ ৪৭ লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্র্ণ নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।
এ সময় বাস যাত্রীরা হাবিবুর রহমান নামে (৫০) এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দেয়। আটক হাবিবুর রহমান মাদারীপুর জেলার মধ্যমবামন্ধী গ্রামের গেদু ফকিরের ছেলে । রামপ্রসাদ হাওলাদার জানান, ‘ঢাকার তাতী বাজারে স্বর্ণ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে মরিচা এলাকায় আসলে বাস থামিয়ে কয়েকজন ডাকাত বাসে উঠে আমাকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাস থেকে নিচে নামিয়ে আনে।
আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে বাসযাত্রীদের কাছে চিৎকার করে বললাম তারা পুলিশ নয় সন্ত্রাসী আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। কিন্তু বাসের কোন যাত্রী এগিয়ে আসে নাই। আমার কাছে থাকা টাকার ব্যাগটি নিয়ে দুটি মোটর সাইকেলে কয়েকজন পালিয়ে যায়। আমার ব্যাগে নগদ ৪৭ লাখ টাকা আর অবিক্রিত ৩ ভরি স্বর্ণ ছিল। এ সময় হাবিব নামে একজনকে পালাতে পারে নাই। তাকে আমি ধরে ফেলি। আমি নিশ্চিত আমার কোন পরিচতি কোন লোক এর সাথে জড়িত এবং পরিচিত লোকের মাধ্যমেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই আমার এত বড় ক্ষতি করলো।’
সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো.নাছির উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতার স্বীকার করে জানান, ‘রামপ্রসাদ হাওলাদার একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রায়ই ঢাকার তাতীবাজার থেকে স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় করে এ পথে আসা যাওয়া করেন। ধারনা করছি তার পরিচিত লোকের মাধ্যমেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গ্রেফতার আছে। রামপ্রসাদ বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় ডাকাতি মামলা করেছেন। আরো কারা এর সাথে জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে সব বেড়িয়ে আসবে আশা করছি। পলাতক ডাকাতদের ধরার চেষ্টা চলছে।