ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

পিঠার সঙ্গে ১০০ রকমের ভর্তা ফ্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

পিঠার সঙ্গে ১০০ রকমের ভর্তা ফ্রি

শীত মৌসুমের পিঠার দোকানগুলোতে রীতিমতো মেলা বসে পিঠাপ্রেমিদের। বিশেষ করে সন্ধ্যায় ভিড় লাগে দোকানগুলোতে। আর তাই শীত মৌসুমে বিভিন্ন পিঠা বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন অনেকেই। 

তার ব্যতিক্রম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মাজেদা বেগমের তৈরি শতাধিক রকমের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসছেন পিঠা প্রিয় মানুষজন।

উপজেলার বাহেরচর বাজারের পিঠা দোকান কেন্দ্র করে কাস্টমারদের সমাগমে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি হয় তার দোকানে। মাসে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার পিঠা বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

মাজেদা বেগমের বয়স ৫০ ছুই ছুই, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে চিতই পিঠা বানিয়ে সংসার চালান। অভাবের সংসারে ৫ মেয়ে ও দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে কোনরকম দিন কাটে। প্রতিদিন ১১টি চুলায় ১ হাজারেরও বেশি চিতই পিঠা তৈরি করেন। প্রতিটি চিতই বিক্রি হয় ১০ টাকায়। তবে ডিম ও মসলাসহ স্পেশাল ডিম পিঠা বিক্রি হয় ৩০ টাকায় । 

পিঠার সঙ্গেই ১০০ পদের ভর্তা ফ্রি দেয়া হয়। যার যতবার খুশি ভর্তা নিতে পারবে। শুক্রবারে ভিড় থাকে বেশি। ওই দিন প্রায় এক মণ চালের পিঠা বিক্রি করেন তিনি। 

১০০ পদের ভর্তা বানানোর জন্য ১২-১৩ রকমের শুঁটকি, বিভিন্ন রকমের মাছ, কয়েক রকমের ডাল, বাদাম, ধনেপাতা, মরিচ, মৌসুমি সবজি ব্যবহার করেন তিনি। 

অভিনব কায়দায় কাস্টমারদের পিঠার প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলার জন্য মাজেদা বেগম কাস্টমারদের দিকে পিঠা ছুড়ে মারে, সেই পিঠা কাস্টমাররা ক্যাচ নিয়ে সানন্দে বিভিন্ন পদের ভর্তা মিশিয়ে খেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে। এই চিতই পিঠার দোকানকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ৫০-১০০ জন মানুষের জটলা লেগে থাকে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা থেকে পিঠা খেতে আসা কলেজছাত্র আরিফ হোসেন বলেন, গজারিয়ার এক বন্ধুর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তারা ১০০ পদের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। সে জন্য পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে সাত বন্ধু মিলে এখানে পিঠা খেতে এসেছেন।

আমি প্রথমে ৫০০০ টাকা পুঁজি নিয়ে পিঠা বিক্রি শুরু করলেও এখন আমি বেশ ভালো আছি। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, হোমনা, দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পিঠা খেতে আসে ।শুক্রবারে ভিড় থাকে বেশি। 

এসআর

×