ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

শিক্ষক নিয়োগের নামে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, যশোর

প্রকাশিত: ১৩:০০, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

শিক্ষক নিয়োগের নামে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

শিক্ষক নিয়োগের নামে এক সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে চার ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি কেশবপুর উপজেলার মৃত আলী হোসেন মোল্যার ছেলে আব্দুস সামাদ কয়রা উপজেলায় কর্মরত ওই সরকারী কর্মচারী প্রদীপ মন্ডলের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সার্কুলার দেখিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল কেশবপুর উপজেলার বরনডালী গ্রামের ইমান আলী সানার ছেলে নজরুলর ইসলামের নিকট থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, একই গ্রামের মৃত আলী হোসেন মোল্যার ছেলে আব্দুস সামাদ মোল্যার নিকট থেকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বাঁটরা গ্রামের মুনছুর আলী সরদারের ছেলে আজমল হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ও একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের রনজিৎ কুমার দাশের ছেলে প্রদীপ কুমার দাশের নিকট থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজারসহ সর্বমোট ১০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল কাউকে কোন চাকুরী না দেয়ায় ভুক্তভোগীরা তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন টালবাহানা ও নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। 

অভিযোগকারীরা জানান, চাকুরীর জন্য ওই কর্মকর্তার নিকট টাকা প্রদানের ভিডিও ফুটেজ, মোবাইল কল রেকর্ড এবং ৩’শ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিনামাসহ এন,আর,বি,সি বাংকের চেকসহ সকল প্রমান তাদের কাছে রয়েছে। যা অভিযোগ সাথে সংযুক্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেশবপুর উপজেলার মৃত আলী হোসেন মোল্যার ছেলে আব্দুস সামাদ গত ২২ অক্টোবর ওই সরকারী কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডলের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা অঞ্চল, খুলনা বিভাগীয় প্রথমিক শিক্ষা অফিস ও সাতক্ষীরা জেলা সদর সেনা ক্যাম্প বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সুত্র আরো জানায়, দূর্ণীতিবাজ ওই কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল শুধু যশোর-সাতক্ষীরা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে সে অবৈধ সম্পদের পাহাড়সহ অঢেল টাকার মালিক বনে গেছে। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা রাজ্জাক পার্কের পার্শ্বে রতখোলা পূজামন্ডপ সংলগ্ন তার ৬ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল বাড়ীতে বসবাস করছে।

এ বিষয় কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসরে উচ্চমানসহকারী কাম হিসাবরক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল মুঠোফোনে জানান, বোঝে তো অফিসে কাজ করি কিছু এদিক সেদিক হয়। পরেই বলেন, আমি টাকা নেয়ার সাথে জড়িত না। প্রমানের কথা জানানলে তিনি আমতা আমতা করে বলেন, আমি সন্ধ্যার পরে আপনার সাথে কথা বলবো এখন ব্যস্ত আছি।

 এসআর

×