মুন্সীগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ
ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার আসামি মুন্সীগঞ্জে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেলের জামিনের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় আদালত মাঠে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ করে এক নারী আইনজীবীর মন্তব্যের জেরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ওই নারী আইনজীবীর স্বামীর হট্টগোল হয়।
পরে এর প্রতিবাদে আদালত এলাকায় তিন ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা। শেষে জেলা আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযুক্ত আইনজীবী ইশতিয়াক সম্রাটের বিরুদ্ধে ‘আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করা ও শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি চর থাপ্পড়’ দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার দুপুর একটার দিকে শতাধিক আন্দোলনকারী ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুন্সীগঞ্জ’ ব্যানার নিয়ে আদালত এলাকায় প্রবেশ করেন। প্রথমে তারা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অবস্থান নেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাস কক্ষের বারান্দায় গিয়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ইয়াসিন আল হাবীব জানান, হত্যা মামলার আসামি নাজমুল হাসান সোহেলের জামিনের খবর পেয়ে আদালতে ছুটে যাই আমরা। সেখানে জামিনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করি। একপর্যায়ে আমরা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে অবস্থান করলে এক নারী আইনজীবী বিরূপ মন্তব্য করেন। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সমিতি ভবনের ভেতর ঢুকে যান। তখন ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে হট্টগোল বাধে। এ সময় এক শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হয়। পরে আমরা এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেই। আশা করি, আইনজীবী সমিতি দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামির জামিন আদেশের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আপত্তি ওঠে। তারা কোর্ট প্রাঙ্গণে জড়ো হলে আইনজীবীদের সঙ্গে হট্টগোল হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ডিপজল ও সজল মোল্লা নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেলকে বুধবার দুপুরে জামিনের আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী মোহাম্মদ হান্নান। পরে খবর পেয়ে কোর্ট এলাকায় যান আন্দোলনকারীরা।