সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টি
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় রূপ নিয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে বাগেরহাটসহ সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় বুধবার দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। রোদ নেই। ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হলেও মোংলা সমূদ্র বন্দরে পণ্য ওঠা-নামার কাজ স্বাভাবিক আছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও ওষুধ। স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘দানা’। বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। আর এর প্রভাবে সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় আকাশ মেঘলা ও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি বাড়তে পারে সন্ধ্যার পর থেকে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ মাহাবুব হোসেন জানান, ‘দানা’র প্রভাবে সাগর ক্রমশ: উত্তাল হয়ে উঠছে। তবে এ সময় নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশ আহরণের কোন ট্রলার সাগরে নেই।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি উপলক্ষে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, আমদের ৩৫৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়ন কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার ও পানিসহ চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’ জেলা প্রশাসকের ভাষায়,‘দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগ কালিন এবং দুর্যোগ পরবর্তি সকল ধরণের সমন্বিত প্রস্তুতি আমরা গ্রহন করছি। মানুষ যত বেশী সচেতন হবে, ক্ষয় ক্ষতি তত কম হবে।
ইসরাত