ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

দৌলতপুরে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা

প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২২ অক্টোবর ২০২৪

প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

তরিকুল ইসলাম টুকু

উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু হত্যা মামলার প্রধান আসামি তরিকুল ইসলাম টুকু গ্রেপ্তার হলেও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত অন্য আসামিরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ইউনিয়ন পরিষদের নিজ অফিস কক্ষে চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা, শূন্য পদ তৈরি করে চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখা এবং সন্ত্রাসীদের প্রভাব বিস্তারের জন্য পূর্ব শত্রুতার জেরে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবার ও  এলাকাবাসীর। 
নির্মম এ হত্যাকা-ের পরের দিন ১ অক্টোবর নিহত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুর ছেলে আহসান হাবিব বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান তরিকুল ইসলাম টুকুকে গত ১৪-অক্টোবর রাতে র‌্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাবনা সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী নিহত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুর ছেলে আহসান হাবিব বলেন, বাবার মৃত্যুর পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। আমার বাবা একজন জনপ্রতিনিধি, আইনের রক্ষক ছিলেন। আমার বাবার সকল হত্যাকরীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিচার করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
চেয়ারম্যান হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবির বলেন, ইতোমধ্যে  মামলার এক নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাকি আসামিরা অনেক দূরে অবস্থান করছে, আমাদের পুলিশের টিম পাবনা-টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এ হত্যা মামলার সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।  এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হত্যাকারীরা যেই হোক, কোনো হত্যাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

×