ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ২২ অক্টোবর ২০২৪

গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে

যানবাহন ভাঙচুর

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় টানা ৩২ ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশের জলকামানের মুখে সড়ক ছেড়ে যায় শ্রমিকরা। সড়ক ছেড়ে যাওয়ার সময় তারা অন্তত অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রি-মোড়ের অবরোধ ছেড়ে যায় শ্রমিকরা।

এর আগে, সোমবার সকাল থেকে শুরু করে মঙ্গলবারও টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিল আশুলিয়ার জেনারেশন নেক্সট লিমিটেড কারখানার কয়েকশ শ্রমিক।


পুলিশের ধাওয়ায় পালানোর সময় শ্রমিকরা বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন চালকরা। জামগড়া থেকে চন্দ্রাগামী ট্রাকচালক রিয়াদ বলেন, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় লাঠি ও ইট দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। অনুরোধ করা হলেও তারা কথা শুনেনি।

জাহাঙ্গীর নামে এক কাভার্ডভ্যানচালক বলেন, আমরা প্রায় ১৬ ঘণ্টা শ্রমিক অবরোধের মুখে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের বগাবাড়ি এলাকায় আটকে ছিলাম। আজ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে জামগড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তারা লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে। অন্তত ৫০টিরও বেশি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন তারা।


এর আগে শ্রমিকরা জানান, তিন মাসের বেশি সময় ধরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কারখানাটি বন্ধ রেখেছেন মালিকপক্ষ। কারখানাটিতে কাজ করে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। গেল ৪ মাস ধরে তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা কয়েকদফা আন্দোলন করেছেন। বিজিএমইএ-সহ অন্যান্য দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। তারপরও তাদের পাওনা পরিশোধ না করায় তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

পরে আজ বিকালে সেনাবাহিনী, শিল্পপুলিশসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের প্রথমে বুঝিয়ে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। শ্রমিকরা না মানায় একপর্যায় জল কামান ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এসময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কারখানার মালিকের বোন ও ডিএমডিকে আইনের আওতায় এনেছে যৌথবাহিনী। এটি বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের জানানো হয়। এ ছাড়া প্রয়োজনে নিয়ম মেনে কারখানা বিক্রি করে বা মালামাল বিক্রি করেও বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। এটি জানিয়ে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। শ্রমিকদের একটি পক্ষ বিষয়টি মেনে নেয়। তবে আরেকটি পক্ষ সড়কেই অবস্থান নিয়ে থাকার কথা জানায়। পরে বাধ্য হয়ে আমরা জলকামান ব্যবহার করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

মাহাতাব

×