ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

চাটমোহর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরুণীর ধর্ষণ মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটমোহর (পাবনা)।

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চাটমোহর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরুণীর ধর্ষণ মামলা

অভিযুক্ত মামুনুর রশীদ মিমো’র ছবি। 

মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসের সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক তরুণী। অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ মিমো বগুড়া জেলার শেরপুর থানার উত্তর সাহাপাড়া গ্রামের মৃত. খায়রুল আলমের ছেলে। সে চাটমোহরে দেড় বছর যাবৎ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ২২ আগষ্ট বগুড়া কাহালু থানায় মামলাটি দায়ের করেন ঐ এলাকার ভুক্তভোগী এক তরুণী। মামলা দায়েরের পর থেকে ঐ তরুণীকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তরুণীর। 

ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের গ্রামের বাড়ি ও আমার বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে হওয়ার সুবাদে তিনি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমি রাজি না হলে তিনি নিজের প্রাণ শেষ করে দিবে বলতে থাকে এবং একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আমাকে মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসায়। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের এক পর্যায়ে গত ১৩ এপ্রিল কাহালু থানাধীন জামগ্রাম ইউনিয়ন এর অন্তর্গত শান্তা গ্রামের বালিয়াদিঘী নামক জায়গায় বেড়ানোর কথা বলে আমাকে নিয়ে গিয়ে একটি শ্মশানের লাশ পোড়ানোর ঘরের পাশে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এতে আমি বাধা দিলে মারধর করে এবং জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি আমি আমার পরিচিত কয়েকজনকে ঘটনাটি খুলে বলি। তখন তারা ঐ কৃষি অফিসারকে ডেকে নিয়ে তার কাছে শুনতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ বিষয়গুলো স্বীকার করে। এসময় তাকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি তাতে অস্বীকার করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। এরপর থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, মামুনুর রশীদ আমাকে ছাড়াও আরো অনেক নারীতে আসক্ত ছিল বিষয়টি আমি জানতাম না। আমি পরে জেনেছি অনেক নারীর সর্বনাশ সে করেছে কিন্তু তার নানা প্রভাবে কোন নারীই ভয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেনি। আমি এই অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে লম্পট ধর্ষকের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামুনুর রশীদ মিমোর বক্তব্য নেয়ার জন্য তার অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অফিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গত এক সপ্তাহ যাবৎ তিনি অফিসে আসছেন না। তার সঙ্গে অফিসের কেউই যোগাযোগ করতে পারছে না। 

এ বিষয়ে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিনুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় আইনুনগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তাওফিক

×