.
কয়েক দফার বন্যায় উপজেলাজুড়ে কৃষিতে অভাবনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধানের বীজতলা ও রোপিত ধান নষ্ট হয়। এমনও হয়েছে, বন্যায় নষ্ট হওয়ার পর পুনরায় রোপিত ধানের চারা আরেক দফার বন্যায় ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় সর্বোচ্চ তিন দফায় ধানের চারা রোপণষ করা হয়েছে। তবে আশার কথা, বন্যার ধকল সহ্য করে অবশেষে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপজেলার বেশিরভাগ জায়গায় দেখা গেছে, বন্যার ক্ষত সেরে ধানগাছ এখন সবুজে রূপান্তরিত হয়েছে।
দখিনা বাতাসে খেলা করছে ধানের শীষ। দফায় দফায় বন্যায় হতাশাগ্রস্ত কৃষক এবার আশায় বুক বাঁধছেন। উঁচু জমিতে আগাম রোপিত ধান সোনালি রং ধারণ করেছে। কিছু কিছু জায়গায় কাটা শুরু হয়েছে আমন ধান? জমি উঁচুর কারণে বন্যার পানি স্থায়ী কম হওয়ায় ধানের চারায় তেমন ক্ষতি হয়নি। পাশাপাশি আগাম রোপণের ফলে আগেভাগে কাটা শুরু হয়েছে ধান।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাইজভা-ার-নাজিরহাট সড়ক লাগোয়া রোসাংগিরী ইউনিয়নের আজিমনগর গ্রামের বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আজিমনগর গায়েবি ধন মনজিলে পানির সেচসহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে আগাম ধান রোপণ করা সম্ভব হয়।
দিনমজুর মোহাম্মদ আক্কাছ আলী বলেন, শনিবার থেকে আজিমনগর বিলে (জমিতে) ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগে রোপণ করায় আগাম কাটা সম্ভব হচ্ছে। কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতি বেশি হয়েছে? আশানুরূপ ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা কম। খালের তীরবর্তী জমিতে ফসলই হয়নি। তবে উঁচু কিছু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। রাসাংগিরী ইউপি সদস্য শেখ আশরাফ আলী বাবু বলেন, আজিমনগর বিল এবার কয়েক দফায় বন্যার তা-বের শিকার হয়েছে। এর পরও তেরপারই খালে দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় উঁচু বিলের ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি এবং এখন আগাম ধান কাটা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভারি বর্ষণ, পাহাড়ী ঢলের কারণে ফটিকছড়িতে এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কৃষিতে দারুণ ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা কয়েক দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কিছু কিছু উঁচু জমিতে তেমন প্রভাব পড়েনি? আগাম রোপণের পাশাপাশি উঁচু জমি হাওয়ায় আগেভাগে ধান কাটা শুরু করতে পেরেছেন তারা। তবে তা সংখ্যায় কম।