ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১

বন্যার ভয়াবহতা কাটিয়ে আগাম ধান কাটা শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বন্যার ভয়াবহতা কাটিয়ে আগাম ধান কাটা শুরু

বন্যার ধকল সেরে আগাম ধান কাটা শুরু। আজিমনগর থেকে তোলা, ছবি-জনকণ্ঠ।

এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার স্বাক্ষী হয়েছে ফটিকছড়ি। কয়েক দফার বন্যায় উপজেলাজুড়ে কৃষিতে অভাবনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে আমান ধানের বীজতলা ও রোপিত ধান নষ্ট হয়। এমনও হয়েছে, বন্যায় নষ্ট হওয়ার পর পুনরায় রোপিত ধানের চাড়া আরেক দফার বন্যায় ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় সর্বোচ্চ তিন দফায় ধানের চাড়া রোপন করা হয়েছে। তবে আশার কথা বন্যার ধকল সহ্য করে অবশেষে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। 

উপজেলার বেশির ভাগ জায়গায় দেখা গেছে, বন্যার ক্ষত সেরে ধান গাছ এখন সবুজে রুপান্তরিত হয়েছে। দক্ষিণা বাতাসে খেলা করছে ধানের শীষ। দফায় দফায় বন্যায় হতাশাগ্রস্ত কৃষক এবার আশায় বুক বাধঁছেন। 
উচু জমিতে আগাম রোপিত ধান সোনালী রঙ ধারণ করেছে। কিছু কিছু জায়গায় কাটা আরম্ভ হয়েছে আমান ধান৷ জমি উচুর কারনে বন্যার পানি স্থায়ী কম হওয়ায় ধানের চাড়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি৷ পাশাপাশি আগাম রোপনের ফলে আগেভাগে কাটা শুরু হয়েছে ধান। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাইজভান্ডার-নাজিরহাট সড়ক লাগোয়া রোসাংগিরী ইউনিয়নের আজিমনগর গ্রামের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে ধান কাটা আরম্ভ হয়েছে। আজিমনগর গায়েবী ধন মনজিলে পানির সেচ সহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে আগাম ধান রোপন করা সম্ভব হয়। 

দিনমজুর মোহাম্মদ আক্কাছ আলী বলেন, শনিবার থেকে আজিমনগর বিলে (জমিতে) ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগে রোপন করায় আগাম কাটা সম্ভব হচ্ছে।

কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতি বেশি হয়েছে৷ আশানুরূপ ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা কম। খালের তীরবর্তী জমিতে ফসলই হয়নি। তবে উচু কিছু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। 

রোসাংগিরী ইউপি সদস্য শেখ আশরাফ আলী বাবু বলেন, আজিমনগর বিল এবার কয়েক দফায় বন্যার তান্ডবের শিকার হয়েছে। এরপরও তেরপারই খালে দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় উচু বিলের ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি এবং এখন আগাম ধান কাটা হচ্ছে। 

হেড: বন্যার ভয়াবহতা কাটিয়ে আগাম ধান কাটা শুরু
ক্যাটা: ময়মনসিংহ
ক্যাপ:  বন্যার ধকল সেরে আগাম ধান কাটা শুরু। আজিমনগর থেকে তোলা, ছবি-জনকণ্ঠ।
এম হাসান
নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি


এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার স্বাক্ষী হয়েছে ফটিকছড়ি। কয়েক দফার বন্যায় উপজেলাজুড়ে কৃষিতে অভাবনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে আমান ধানের বীজতলা ও রোপিত ধান নষ্ট হয়। এমনও হয়েছে, বন্যায় নষ্ট হওয়ার পর পুনরায় রোপিত ধানের চাড়া আরেক দফার বন্যায় ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় সর্বোচ্চ তিন দফায় ধানের চাড়া রোপন করা হয়েছে। তবে আশার কথা বন্যার ধকল সহ্য করে অবশেষে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। 

উপজেলার বেশির ভাগ জায়গায় দেখা গেছে, বন্যার ক্ষত সেরে ধান গাছ এখন সবুজে রুপান্তরিত হয়েছে। দক্ষিণা বাতাসে খেলা করছে ধানের শীষ। দফায় দফায় বন্যায় হতাশাগ্রস্ত কৃষক এবার আশায় বুক বাধঁছেন। 
উচু জমিতে আগাম রোপিত ধান সোনালী রঙ ধারণ করেছে। কিছু কিছু জায়গায় কাটা আরম্ভ হয়েছে আমান ধান৷ জমি উচুর কারনে বন্যার পানি স্থায়ী কম হওয়ায় ধানের চাড়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি৷ পাশাপাশি আগাম রোপনের ফলে আগেভাগে কাটা শুরু হয়েছে ধান। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাইজভান্ডার-নাজিরহাট সড়ক লাগোয়া রোসাংগিরী ইউনিয়নের আজিমনগর গ্রামের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে ধান কাটা আরম্ভ হয়েছে। আজিমনগর গায়েবী ধন মনজিলে পানির সেচ সহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে আগাম ধান রোপন করা সম্ভব হয়। 

দিনমজুর মোহাম্মদ আক্কাছ আলী বলেন, শনিবার থেকে আজিমনগর বিলে (জমিতে) ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগে রোপন করায় আগাম কাটা সম্ভব হচ্ছে।

কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতি বেশি হয়েছে৷ আশানুরূপ ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা কম। খালের তীরবর্তী জমিতে ফসলই হয়নি। তবে উচু কিছু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। 

রোসাংগিরী ইউপি সদস্য শেখ আশরাফ আলী বাবু বলেন, আজিমনগর বিল এবার কয়েক দফায় বন্যার তান্ডবের শিকার হয়েছে। এরপরও তেরপারই খালে দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় উচু বিলের ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি এবং এখন আগাম ধান কাটা হচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভারি বর্ষণ, পাহাড়ী ঢলের কারণে ফটিকছড়িতে এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কৃষিতে দারুণ ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা কয়েক দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কিছু কিছু উচু জমিতে তেমন প্রভাব পড়েনি৷ আগাম রোপনের পাশাপাশি উচু জমি হাওয়ায় আগেভাগে ধান কাটা শুরু করতে পেরেছেন তারা। তবে তা সংখ্যায় কম।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভারি বর্ষণ, পাহাড়ী ঢলের কারণে ফটিকছড়িতে এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কৃষিতে দারুণ ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা কয়েক দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কিছু কিছু উচু জমিতে তেমন প্রভাব পড়েনি৷ আগাম রোপনের পাশাপাশি উচু জমি হাওয়ায় আগেভাগে ধান কাটা শুরু করতে পেরেছেন তারা। তবে তা সংখ্যায় কম।  

এম হাসান

×