ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১

ডাসারে সড়কে হাজারো মানুষের ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ২০ অক্টোবর ২০২৪

ডাসারে সড়কে হাজারো মানুষের ভোগান্তি

ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই এলাকায় চলাচল অনুপযোগী সড়ক

ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার পাকা সড়ক না থাকায় দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার কিছু অংশ ইটের সলিং থাকলেও তা নির্মাণ হয়েছে প্রায় দুই যুগ আগে। বর্তমানে রাস্তায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ আর গর্ত। তাই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বৃষ্টির দিনে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। বর্তমানে ওই রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে এলাকাবাসীর পক্ষ্য থেকে বারবার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও দীর্ঘ দিনেও সড়কটি আলোর মুখ দেখেনি। 
স্কুলগামী শিক্ষার্থী রতœা আক্তার ও পারভেজসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সড়কটি দিয়ে হাঁটাচলা করা যায় না। বৃষ্টির দিনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেও কোনো সুরাহা হয়নি, এলজিইডি শুধু বারবার আশ^াস দিয়েছে। আমরা সবাই নতুন একটি পাকা সড়ক চাই, এটা আমাদের প্রাণের দাবি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। একটি ভ্যানও চলতে পারে না, পথচারীদের কষ্ট হয়। এর অন্যতম কারণ হলো, সড়কটি বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দক। কোথাও রয়েছে বড় বড় গর্ত। এমতাবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে অতি শীঘ্রই এখানে একটি পাকা সড়ক নির্মাণ প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কির্ত্তনীয়া বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে এলাকার মানুষ শান্তিমত সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারেন।

খানাখন্দে ভরা মুন্সীগঞ্জ পৌর সড়ক মেরামত শুরু
স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, অবশেষে খানাখন্দে ভরা মুন্সীগঞ্জ পৌর এলাকার সড়ক সংস্কারে শুরু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ পৌর প্রকল্পের আওতায় মানিকপুরের ১০তলা ভবনের কাছ থেকে শুরু করে সুপার মার্কেটের অঙ্কুরিত মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ এর ভাস্কর্য পর্যন্ত ১ম অংশ, পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার রেড ক্রিসেন্ট ভবন থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত ২য় অংশ এবং সুপার মার্কেট-থানা সড়ক হয়ে লিচুতলা এলাকার পতাকা একাত্তর ভাস্কর্য পর্যন্ত তৃতীয় অংশ সড়কের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে।

খোয়া ফেলে খানাখন্দ ভরাট ও রোলার দিয়ে পিষে পিচ ঢালাই করা হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজের দায়িত্ব হাতে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ট্রেডার্স। মুন্সীগঞ্জ পৌরবাসীর এই রাস্তা মেরামতের কাজ দেখে মনে হচ্ছে, প্রতি বছরই যেন পৌরসভার এই রোডগুলোর মেরামত কাজ হচ্ছে। 
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মানিকপুর-হাসপাতালপাড়া সড়কের নিচে গ্যাসের লিকেজ পাইপ আছে, একইভাবে সুপার মার্কেট-থানা রোডেও ১০০ মিটার পর্যন্ত গ্যাসের লিকেজ পাইপ রয়েছে। যার কারণে আমরা বেশি গর্ত করে স্থায়ীভাবে মেরামতের কাজ করতে পারছি না। ৪/৫ বছর যাবৎ আমরা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। তারা লিকেজ পাইপের কোনো সমাধান করছে না।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘অস্থায়ীভাবে এই মেরামত কাজ চলছে। ৩ মাসের মধ্যেই এর সমাধান হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ লাখ টাকা। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার রাস্তা মেরামতের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ আছে ৮৫ লাখ টাকা। অথচ স্থায়ীভাবে রাস্তা মেরামত করতে হলে দরকার ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। এটা বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরও আমি মহাপরিচালকের বরাবর দুবার আবেদন করেছি।’ 
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক শাহ এমদাদ হোসেন বলেন, ‘কথাটি সত্যি। কয়েক বছর যাবৎ মুন্সীগঞ্জের কিছু এলাকার রাস্তায় গ্যাস পাইপ লিকেজ রয়েছে। আমি মুন্সীগঞ্জে যোগদান করেছি মাত্র ১ মাস হলো। এর মধ্যে আমি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালকের কাছে এ বিষয়ে বলেছি। তিনি অনুমোদন দিয়েছেন লিকেজ পাইপ ঠিক করার।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে স্যার বলেছেন, যেসব জায়গায় পাইপের ফুটো রয়েছে তা লিস্ট করে কতটুকু পাইপের প্রয়োজন হবে তা জানাতে। এর মধ্যে আমি পাইপ লিকেজের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে নতুন কতটুকু পাইপ সংযোজন করতে হবে তা লিস্ট করে এমডি স্যারের বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি বাজেট বরাদ্দ করে টেন্ডারের মাধ্যমে কোন ঠিকাদারের কাছে কাজ শুরুর ঘোষণা দেবেন আগামী মাসের মধ্যেই।’

×