ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

রাজিব হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ১৭:০৮, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

রাজিব হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগের ছোটবাগ এলাকার রাজিব (৩৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করে মানববন্ধন পালন করেছে নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী।

 

 

 

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ করে মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা। এলাকাবাসী ছোটবাগ থেকে মদনপুর স্ট্যান্ড পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। এ সময় তারা যানবাহন আটকিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে করে মহাসড়কের দুই পাশেই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে এ মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বন্দর থানার ধামগড় ফাঁড়ির পুলিশ এসে নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেন আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। এ সময় নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজিব হত্যাকান্ডের সকল আসামীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।

 


এলাকাবাসীর সঙ্গে মানববন্ধনে অংশ নেন নিহতের রাজীবের পিতা হোসেন মাতাব্বর, বড় ভাই  শফিক, ছোট ভাই রাসেল, বড় বোন পারভিন, মামুন, ফারুক, রহিম, খোকন, সেলিম, মজিবর, সামসু প্রধান, জাকির প্রধান ও বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম হিরণ প্রমুখ। 

 


জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর রাতে রাজিবকে প্রকাশ্যে আয়াত ও মিরাজ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের পিতা হোসেন মাতাব্বর বাদী হয়ে আয়াত ও মিরাজসহ ১৪ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ হত্যাকান্ডের পর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিরাজ, আয়াত ও মেহেদীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত গ্রামবাসী। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, রাজিব হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এখনো কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে

ফুয়াদ

×