ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষার নামে চলছে চোর-পুলিশ খেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাউফল,পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষার নামে  চলছে চোর-পুলিশ খেলা

বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষার নামে চলছে চোর-পুলিশ খেলা। মা ইলিশের নিরাপদ প্রজননের এই নদীর  ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে  অভায়শ্রম ঘোষনা করে সরকার। কিন্তু সেই অভায়শ্রম এখন আর নিরাপদ নেই। জেলেরা নির্বিগ্নে মা ইলিশ শিকার করছেন । গত ১৩ অক্টোর থেকে  আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরা, বেচা-কেনা ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। 

 

সরেজমিনে দেখা গেছে,  সকাল থেকে  কয়েকশ মাছ ধরার নৌকা ও  ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তেঁতুলিয়া নদীতে। ওই  সময় প্রশাসনের কোন টহল চোখে পড়েনি। অভিযোগ রয়েছে, ইলিশ রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা জেলেদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। যে কারণে অভিযানের দিনক্ষন ও সময় জেলেরা আগাম জেনে যায়। সর্তক হয়ে যায় তারা। নামমাত্র অভিযান শেষে কর্তাব্যক্তিরা যখন চলে আসেন তখন আবার  নদীতে জাল নিয়ে নামে জেলেরা।  এ যেনো চোর-পুলিশ খেলার মত। তবে নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে সব জেলেরা মাছ শিকার করছেন তারা অধিকাংশই মৌসুমি জেলে বলে দাবি করেছেন প্রকৃত জেলেরা। 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তেঁতুলিয়া নদীর চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাতির খাল, চরমিয়াজান, চর রায়সাহেব, চর ব্যারেট, কালাইয়া ইউনিয়নের  শৌলা তারের পোল, চরকালাইয়া, নুরজাহান পার্কের রাস্তার মাথা ও বগী তুলাতলা, নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া, ধানদী, নিমদী, তাঁতেরকাঠি, কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর, ধুলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া, ধুলিয়া লঞ্চঘাট, চর সাবুদেবপাশা ও   কারখানা নদীর  কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা পয়েন্টে অবাধে চলে ইলিশ শিকার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নামেন। বিশেষ মাধ্যমে প্রশাসনের অভিযানের খবর পৌঁছে যায় জেলেদের কাছে। যার কারণে নিয়মতি অভিযান চললেও ইলিশ নিধন বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। 
 

 

ফুয়াদ

×