ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

সেতুর অভাবে ৩০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

সেতুর অভাবে ৩০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সেতুর অভাবে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার

বেলকুচি উপজেলার যমুনা নদী বিধৌত চরাঞ্চলে অবস্থিত ৩টি ইউনিয়নের (বড়ধুল, দৌলতপুর ও সদিয়া চাঁদপুর) ৩০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। প্রায় ৪০ বছর পূর্বে যমুনা নদীর ভাঙনে এদের বাড়িঘর বিলীন হয়ে যায়। পরে যমুনার চর জেগে ওঠায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন আবার নতুন করে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করে।

এসব চর এলাকায় গড়ে উঠেছে ৩টি মাধ্যমিক, ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাদ্রাসা। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক/শিক্ষিকাসহ এলাকাবাসী বিভিন্ন পণ্য নিয়ে পায়ে হেঁটে আবার কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে পার্শ¦বর্তী আজুগড়া জামতৈল খেয়াঘাট থেকে নৌকায় পার হয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ, মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, খাজা ইউনিভার্সিটি, নার্সিং ইনস্টিটিউটে কর্মরত কর্মচারী কর্মকর্তাদের ভরসা এই খেয়াঘাট।

বড়ধুল ইউপি চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা জানান, বিগত সরকারের আমলে এমপি, মন্ত্রীসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী খেয়া নৌকায় পার হয়ে চরাঞ্চলের বড় বড় অনুষ্ঠানে গিয়েছে। তাদের জনদুর্ভোগের কথা জানালে এ ব্যাপারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। বেলকুচি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইদুর রহমান জানান, আমাদের আওতায় চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে ৪ হাজার পরিবারে আবাসিক মিটার ও ২০০টি সেচ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিদিন আমাদের অফিসের লোকজন বাইক নিয়ে অতি কষ্টে খেয়া নৌকায় পার হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ মন্ডল বলেন, অবহেলিত এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা।

×