ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

সেন্টমার্টিনে রাত যাপন নিষিদ্ধ ও ভ্রমণ সীমিতকরণের প্রস্তাব প্রত্যাহার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১৭ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ২১:১২, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

সেন্টমার্টিনে রাত যাপন নিষিদ্ধ ও ভ্রমণ সীমিতকরণের প্রস্তাব প্রত্যাহার দাবি

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাত যাপন নিষিদ্ধ এবং ভ্রমণ সীমিতকরণের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে পর্যটনশিল্পকে সচল রেখে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোট।

মানববন্ধন থেকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলে মানুষের জীবিকা বাঁচিয়ে রাখা ও রাত যাপন বন্ধ করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমের শুরুতে সেন্টমার্টিন নিয়ে এ রকম একটা টালবাহানা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত সরকারের করা নীতিকে বাস্তবায়ন করতে যে ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টা দিয়েছেন সেটা আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।

তিনি বলেন, আমরা পরিবেশ রক্ষার বিপক্ষে নই। আমরা পরিবেশকে রক্ষা করে চলতে চাই। সেন্টমার্টিনে রাত যাপনসহ পর্যটনকে অব্যাহত রাখতে হবে। এটা না করলে জাতির জন্য একটা বড় বিপর্যয় হবে।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টোয়াক) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করব এবং স্মারকলিপি দেব। পরিবেশ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করে রাত যাপনের অনুমতি দিতে হবে। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ দুই রাতের অনুমতি দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে অনেক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে পরিবেশবিদরা খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন। আমরাও চাই আপনারা পরিবেশ রক্ষার পর্যবেক্ষণ জোরদার করে রা যাপনের অনুমতি দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে সেন্টমার্টিনকে পরিবেশ সংকটাপন্ন দ্বীপ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ঘোষণার পর থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড একটি মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বিশ্ব রোল মডেল পর্যটন হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল। পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, যেন তারা মাস্টার প্ল্যানের রোল মডেলের ম্যাপটি দেখান। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রণালয় বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একটি খাতকে মেরে ফেলে আরেকটা খাতের উন্নয়ন করা যায় না।

তারা বলেন, সেন্টমার্টিনে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ দ্বীপ নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হলে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে।

মানববন্ধন শেষে তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

×