ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

বন্যায় বহু সড়ক বিলীন, চাটখিলে ৩শ কোটি টাকার ক্ষতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটখিল (নোয়াখালী)

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

বন্যায় বহু সড়ক বিলীন, চাটখিলে ৩শ কোটি টাকার ক্ষতি

সড়ক। ছবি: জনকণ্ঠ

সম্প্রতি বন্যায় নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বহু সড়ক অস্তিত্ব হারিয়ে বিলীনের পথে। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের আইডির্ভূক্ত ৪৬৬টি সড়ক ও ১২শ ব্রীজ/কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাত আমিন পাটোয়ারী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রীজ/কালভার্ট মেরামতের জন্য তহবিল চেয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। তহবিল আসলে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ব্রীজ/কালভার্ট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেরামত করা হবে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সরেজমিনে উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চাটখিল-রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের একমাত্র সংযোগ সড়ক শাহাপুর-কচুয়া সড়কে প্রায় ৩ কি.মি সড়ক অস্থিত্বহীন। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী সহ হাজার-হাজার পথচারী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। 

শাহাপুর বাজার থেকে কচুয়ার চাটখিল-রামগঞ্জ মহাসড়ক পর্যন্ত সড়কের ইট,কনা বন্যার পানির সাথে সরে যাওয়ার ফলে সড়কটি কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়ে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্যস্ততম এই সড়কটি এখন যেন, জনমানব শূন্য দূর্গম পাহাড়ি এলাকার সড়কে পরিণত হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক হিসেবে এসড়কটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। 

এছাড়াও উপজেলার বদলকোট ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে। অপরদিকে রামনারায়নপুর, খিলপাড়া, পরকোট, হাটপুকুরিয়া-ঘাটলাবাগ, নোয়াখলা ইউনিয়ের সড়ক গুলোও সংস্কার প্রয়োজন। অন্যদিকে গ্রামীন সড়ক ও কালভার্ট বন্যার পানির সাথে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের আইডির্ভূক্ত ৪৬৬টি সড়ক ও ১২শ ব্রীজ/কালভার্ট এবং ননআইডির্ভূক্ত সড়কসহ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সবকটি সড়ক ও ব্রীজ কালভার্ট দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 
   
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাদ আমিন পাটওয়ারী শাহাপুর-কচুয়া সড়ক সিসি ঢালাই এর মাধ্যমে উভয় পার্শ্ব বর্ধিত করার প্রাক্কলন তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, ক্ষতিগস্ত সকল সড়ক ও ব্রীজ/কালভার্ট সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।     
 

 এসআর

×