খালের ওপর নির্মিত সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ
সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডিএনডির নিষ্কাশন খালের ওপর নির্মিত সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। সেতুটি রেলিংবিহীন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। রেলিংয়ের শুধু রডগুলো দাঁড়িয়ে আছে। এ সেতুটি পার হয়ে প্রতিদিন ট্র্রাক, কন্টেনার, কাভার্ডভ্যান, অটোরিক্সা, মিশুক ও ব্যাটারি চালিত রিক্সাসহ নানা ধরনের যানবাহন অসংখ্যবার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এ সেতুটি ব্যবহার করে প্রতিদিন লাখো মানুষ পারাপার হচ্ছে। সেতুটি এক মিনিটের জন্য ফাঁকা থাকছে না। স্থানীয়রা যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন। জরুরি ভিত্তিতে এ সেতুটি ভেঙে নতুন পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ডিএনডির নিষ্কাশন খালের ওপর বহু বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ট্র্রাক, কন্টেনার, কাভার্ডভ্যান, অটোরিক্সা, মিশুক ও ব্যাটারি চালিত রিক্সাসহ নানা ধরনের যানবাহন অসংখ্যবার চলাচল করছে। এ সেতুটি পার হয়ে ডেমরার কোনাপাড়া, বামৈল, স্টাফ কোয়ার্টার, সারুলিয়া, টেংরা, বড় ভাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজন যাতায়াত করছে।
এ সেতুটি ঢাকা সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার সীমানায় পড়েছে। স্থানীয় দোকানি ও গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ সেতুটি ইদানীং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুটি রেলিংবিহীন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। রেলিংয়ের শুধু রডগুলো দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীদের অভিযোগ পাথর বোঝাই ট্রাক, কন্টেনার ও রড-সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক চলাচলের সময় সেতুটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
সেতুর পাশের দোকানি জসিম মিয়া বলেন, দেড়-দুই বছর ধরেই সেতুটি একই অবস্থায় দেখে আসছি। সেতুটিতে রেলিং নেই, খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় প্রতিদিন ট্রাক, অটোরিক্সা, মিশুক, ব্যাটারি চালিত রিক্সাসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। মিশুক চালক মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিদিন এ সেতুটি দিয়ে লক্ষাধিক লোকজন পারাপার হচ্ছে। সাত-আট বছর ধরেই ব্রিজ একই অবস্থায় রয়েছে। মালামাল বোঝাই ট্রাক চলাচলের সময় সেতুটি কাঁপে। এতে যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন।
কোনাপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষার্থী আবু তালেব বলেন, কোনাপাড়াসহ আশপাশে রয়েছে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা ও গার্মেন্টস কারখানা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কারখানার যানবাহনগুলো সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয়। এ ছাড়াও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের নিজস্ব বাস ও মাইক্রোবাস চলাচল করছে। সাইনবোর্ড-স্টাফ কোয়ার্টার-কোনাপাড়া রুটের অটো চালক রইজ উদ্দিন বলেন, সরকার পতন হওয়ার আগে এ ঝুঁকিপুর্ণ সেতুটি সিটি করপোরেশনের মেয়র সরেজমিন দেখে গেছেন।
কিন্তু এখন তো সরকার পরিবর্তন হয়েছে। তাই আর আগের সরকারের আমলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি মেরামত করা সম্ভব হলো না। তিনি বলেন, এ সেতুটি পার হয়ে অনেক সময় কন্টেনারও চলাচল করছে। ফলে সেতুটি আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। কোনাপাড়ার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, এ ঝুঁকিপুর্ণ সেতুটি ভেঙে এখানে একটি নতুন আধুনিক সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এখানে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।