ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

ঢাকার সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ১৯:৫১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকার সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার

ডিএনসিসি,র সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ডিএনসিসির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থানায় দায়েকৃত তিন পৃথক হত্যা মামলার আসামি আতিকুল ইসলাম। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলায়ও তার নাম রয়েছে। 

উল্লেখ্য ঢাকার অপর মেয়র তাপস দেশ ছাড়তে সক্ষম হলেও মেয়র আতিকুল ইসলাম সে সুযোগ পাননি। বরং ৫ আগষ্ট সরকার পতনের কদিন পর দেখা গেছে আতিকুল ইসলাম গুলশানের নগর ভবনের রাতের অন্ধকারে লোকজন সহ হাজির হয়ে নিজের অফিস রুম থেকে কিছু কাগজ পত্র সরিয়ে নেন। তখন সেটা টের পেয়ে বৈষম্য ছাত্ররা সেখানে চড়াও হলে মেয়র আতিক পেছনের দরজা দিয়ে নগর ভবন  ত্যাগ করে দৈৗড়ে নিরাপদে গা ঢাকা দিতে সক্ষম হন।  

তারপর থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান সাবেক এ মেয়র। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় তার গ্রেপ্তার ও দেশ ছাড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যেই বুধবার সাবেক এ মেয়রের গ্রেপ্তারের খবর এলো। সরকার বদলের প্রেক্ষাপটে গত ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেযরকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এ তালিকায় ছিলেন সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামও।

আতিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রয়াারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৩-১৪ মেয়াদে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি হিসেবে দাযিত্ব পালন করেন তিনি।

অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। গত ৩ জুলাই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।

শহিদ

×