ইলিশ মাছ বিক্রি করছেন ক্রেতারা।
ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে বরগুনার মাছ বাজারে দাম কমিয়ে মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে রুপালি ইলিশ। বিভিন্ন আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২০০ থেকে ৪০০ টাকা কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। দাম কমানোর এই মাইকিং শুনে বরগুনার মাছ বাজারে ভিড় করেছেন বিভিন্ন ক্রেতারা।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজারের বিভিন্ন মাছ বিক্রেতা এ মাইকিং করেন।
জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই এই মাছ বিক্রি করতে দাম কমিয়ে ঘোষণা দিয়ে করা হচ্ছে মাইকিং। এতে প্রতি কেজি ছোট সাইজের ইলিশের দাম হাঁকা হয় ৫০০ টাকা, যা এর আগে বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। আর ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায়, যা আগে বিক্রি করা হয়েছে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায়। এছাড়া এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রিতে মাইকিং করা হচ্ছে কেজি প্রতি ১৮০০ টাকা করে, যা আগে বিক্রি করা হয়েছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগর থেকে অধিকাংশ ট্রলার ঘাটে ফিরেছে। এতে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাইকিং করে কম দামে ইলিশ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
বেতাগী থেকে আসা গাজী মিরাজ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘ইলিশ মাছ খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও বেশি দামে তা কিনে খাওয়া আমাদের সকলের পক্ষে সম্ভব না। যে মাছ আগে বিক্রি করা হয়েছে ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকায়, তা আজকে বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। মাইকিং শুনে মাছ কিনতে এসেছি। এ রকম কম দামে সারা বছর মাছ বিক্রি হলে আমরা সবাই কিনে খেতে পারি।’
গাজী ফোরকান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আগামীকাল থেকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। এ কারণে মাছের দাম কমিয়ে মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে। মাইকিং শুনেই মাছ কিনতে এসেছি। গতকাল যে মাছ ৭০০ টাকা কেজি ছিল তা এখন ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।’
বরগুনা মাছ বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. ফয়সাল বলেন, ‘অবরোধের কারণে সকল জেলে ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। জেলেদের থেকে মাছ ক্রয় করে পাইকাররা আজকে আর ঢাকায় পাঠাতে পারবেন না। এ কারণে মাছের সরবরাহ বেশি এবং দাম তুলনামূলক আগের থেকে কম।’
এম হাসান