বাউফুল থানা
পটুয়াখালীর বাউফলেমদনপুরা ইউনিয়ন মৎসজীবী দলের সভাপতি আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কন্যা শিশুকে (১১) যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত আনোয়ার হাওলাদারের ইউনিয়নের মৃধার বাজারের মুদি ব্যবসা করেন ।
গত বুধবার (৯ অক্টোবর) ভয় ও আতঙ্কে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় ।
নির্যাতিত শিশু বলেন, আনোয়ারের দোকানে তিনি বাজার করতে যেতেন। একসময় আনোয়ার তাকে জোরজবরদস্তি করে চেপে ধরতেন। তিনি বাধা দিলে তাকে চর থাপ্পড় মারতেন। সে প্রায়ই এমন করতো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেয়ের মামা বিষয়টি নিশ্চিত করে শাস্তির দাবি জানাইছে।
ডা. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই শিশু একই সিনটম নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে আসেন। পরবর্তীতে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখা যায় তার কোনো রোগ নেই কিন্তু শিশুটি প্রচুর আতঙ্কিত ছিলো। সে কিভাবে ভয় পাইছে সেটা বোঝার চেষ্টা করতে বললাম পরিবারকে। শিশু তার বড় বোনকে ঘটনা খুলে বলেন। আজকে আবারো শিশু চিকিৎসা নিতে আসলে, আমি সমস্যা জানতে চাই। তখন শিশু নির্যাতনের বিষয়টি খুলে বলেন আমাকে। ঘটনাটি সত্যি হলে তা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মোবাইল ফোনে আনোয়ার হাওলাদার বলেন, তিনি ওই মেয়েকে চেনেনই না।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, একটি মাধ্যমে তিনি আগেই বিষয়টি শুনেছেন। থানার প্রেট্রোলিং টিমকে সরেজমিনে খোঁজ খবর নিতে বলা হয়েছে। এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। তবে ভিকটিমের এক ফুফাতো ভগ্নিপতি অভিযোগ করেন, অভিযোগ দাখিলের জন্য শুক্রবার সাকল পৌনে ১০টায় ধর্ষিত শিশু,তার বাবা ও মাসহ থানায় যান এবং ওসি সাহেবকে বিস্তারিত অবহিত করেন। কিন্তু বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাদেরকে থানায় বসিয়ে রাখা হলেও মামলা নেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য,অভিযুক্ত আনোয়ার হাওলাদার ছয় মাস আগে- তার দোকানের আইসক্রিম চুরি করে খাওয়ার অপবাদে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
ফুয়াদ