ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ ॥ ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪২, ৬ অক্টোবর ২০২৪

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ ॥ ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী

মিঠামইনের ঢাকী আতপাশা বাজার ডুবোসড়ক ন্মিনমানের সামগ্রি দিয়ে নির্মাণের অভিযোগ

জেলার হাওড় অধ্যুষিত মিঠামইনে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে পল্লী সড়ক নির্মাণে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা দফায় দফায় মানসম্মত কাজের দাবি জানালেও মানছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উল্টো তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পাঁয়তারা করায় প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শনে সত্যতা পাওয়ায় স্থানীয়দের বাধার মুখে সংশ্লিষ্টরা নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে রবিবার ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে জেলা প্রশাসক ও জেলা দুদক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজউদ্দিন ভূঞা। 
জানা গেছে, ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (এমআরআরআইডিপি) আওতায় মিঠামইন উপজেলার ঢাকী আতপাশা বাজার সড়কসহ আতপাশা বাজার লিংক রোড (২ হাজার ৩৮০ মিটার) নির্মাণ কাজটি পায় ঢাকার ই-স্মার্ট কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়ক নির্মাণে প্রাক্কলিত মূল্য ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬ টাকা এবং চুক্তিমূল্য ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কাজটি আগামী বছরের ৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সরেজমিন  গেলে এ বিষয়ে আতপাশা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ হাফিজউদ্দিন ভূঞা ও আনোয়ার হোসেন বলেন, নি¤œমানের ইট-সুড়কি দিয়ে কাদামাটির মধ্যে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

এগুলো ব্যবহারে নিষেধ করা সত্ত্বেও ঠিকাদারি লোকজন সেগুলোই ব্যবহার করছে। এ সময় নয়ানগর গ্রামের পশু চিকিৎসক আলামিন ও কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, সঠিকভাবে কাজটি না করলে বছর ঘুরতেই পানিতে এ সড়ক ভেঙে যাবে। নি¤œমানের ইটের খোয়া এবং মাটি মিশ্রিত খোয়া দিয়ে কাজ করছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ সময় এলাকাবাসী উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি আশ্বাস দেন নি¤œমানের সামগ্রী অপসারণ করা হবে। এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন বলেন, সম্প্রতি নি¤œমানের সামগ্রী ও বৃষ্টির পানির জন্য রাস্তার কাজ বন্ধ করা হয়েছে। 
এদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, নামমাত্র কাজটি দেখিয়ে কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা ইতোমধ্যেই উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। 
মিঠামইন উপজেলা প্রকৌশলী ফয়জুর রাজ্জাক সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নি¤œমানের সামগ্রী অপসারণসহ বর্তমানে প্রকল্প এলাকায় পানি ওঠায় কাজ বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। এ কাজের বিল উত্তোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো নথিপত্র মিঠামইন অফিসে না থাকায় আমি কিছুই বলতে পারব না। সবকিছু তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস থেকে জানার কথা বলেন।

×