কর্মকর্তার অফিস
পঞ্চগড় পৌরসভা নব নির্মিত সুপার মার্কেটের ভেতরে রাখা হয়েছে নামাজ ঘর। মার্কেটের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পৌরসভার কাছে তা হস্তান্তরও করেছে। চলছে দোকাট বরাদ্দ দেয়ার কাজ। শিগগিরই চালু হবে এই সুপার মার্কেট।
হঠাৎই মার্কেটের ভেতরের নামাজ ঘরের ১ টনের তিনটি এসি আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো এসিগুলো চুরি হয় নি বরং তা খুলে নিয়ে পৌরসভার তিন কর্মকর্তার অফিস কক্ষে লাগানো হয়েছে। এই তিন কর্মকর্তা হলেন, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী প্রণব চন্দ্র দে ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন। গরমে স্বস্তি নিতে তারা নামাজ ঘরের এসি খুলে নিয়েছেন নিজেদের অফিসের জন্য। এদিকে নামাজ ঘরের এসি খুলে নেয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কর্মকর্তাদের এমন কান্ডে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। অনেকেই বলছেন রক্ষকরাই এখন ভক্ষক বনে গেছেন।
জানা যায়, ২০২১ সালের জুনে পঞ্চগড় পৌর কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে পৌর সুপার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তৃতীয় নগর পরিচালন ও উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৬ তলা বিশিষ্ট এই সুপার মার্কেটের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৫০ কোটি টাকা। তবে শুরুতে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডসহ দোতলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। মার্কেটের ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য রাখা হয় নামাজের স্থান। সেখানে তিনটি এসিও লাগানো হয়। কিন্তু চালুর আগেই এসি খুলে কর্মকর্তারা তাদের অফিসে স্থাপন করেন।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, এভাবেই ছোট ছোট অনিয়ম থেকে বড় অনিয়ম গড়ে উঠে। নামাজ ঘরের এসি কোন মতেই কর্মকর্তারা তাদের ঘরে ব্যবহার করতে পারেন না।
পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বলেন, সবার সাথে কথা বলেই এসিগুলো খুলে নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসে লাগানো হয়েছে।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রণব চন্দ্র দে বলেন, আমার অফিসের এসিটি আমি আসার আগেই এখানে লাগানো হয়েছে। কোথা থেকে আনা হয়েছে আমি জানি না।
পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, আমাদের সুপার মার্কেটটি এখনো চালু হয় নি। তাই চুরি যাওয়া ও নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমরা এসিগুলো খুলে আমাদের অফিসে লাগিয়েছি। মার্কেট চালু হলেই নামাজ ঘরে স্থাপন করে দেয়া হবে।