ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

রিক্সা-অটোরিক্সায় ধুঁকছে রাজশাহী

যানজটে নাকাল নগরবাসী  

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২১:০৬, ৪ অক্টোবর ২০২৪

যানজটে নাকাল নগরবাসী  

অটোরিক্সার দখলে নগরীর সড়ক

রাজশাহী শহরে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে মাত্রাতিরিক্ত অটোরিক্সার চলাচল। প্রয়োজনে অতিরিক্ত অটোরিক্সায় ক্রমেই ভরেছে নগরী। এ অবস্থায় যানজট কমাতে কৌশল বের করেও সফল হতে পারেনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ফলে নগরীর সর্বত্র অটোজটে এখন নিত্য ভুগছে নগরবাসী। 
রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে রিক্সাজট এড়াতে অটোরিক্সাগুলোকে মেরুন ও সবুজ রং করতে বাধ্য করা হয়। তারপর শিফট ভাগ করে অটোরিক্সা চলাচল করতে দেওয়া হয়। তাতে শহরের যানজট কিছুটা কমলেও এখন আবার সব অটোরিক্সা একসঙ্গে চলছে সড়কে। ফলে শহরে অটো জট স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো তদারকি এখন নেই। ট্রাফিক পুলিশও অনেকটা নীরব। তাই পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে না। 
রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, আগের সব অটোরিক্সার নিবন্ধন বাতিল করে ২০২১ সালে নতুন করে ৮ হাজার ৯০০টির নিবন্ধন দেওয়া হয়। কিন্তু শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। এছাড়া অগণিত ব্যাটারিচালিত রিক্সা আছে। ব্যাটারিচালিত রিক্সার নিবন্ধন আছে মাত্র ১৪ হাজার ২৬২টির। এই রিক্সা-অটোরিক্সা একসঙ্গে শহরে চলাচলে যানজট দেখা দেয়। জানা যায়, ২০১৯ সালের দিকে অটোরিক্সাগুলোর সময় ভাগ করে দেওয়া হয়। মাসের প্রথম সপ্তাহে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেরুন রং এবং বেলা আড়াইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবুজ রঙের অটোরিক্সা চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। আর পরের সপ্তাহে সকাল ৬টা থেকে ২টা পর্যন্ত সবুজ এবং আড়াইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেরুন রঙের অটোরিক্সা চলাচল করার কথা। এতদিন এভাবেই চলছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লে সব রিক্সা-অটোরিক্সা একসঙ্গে নেমে পড়ছে রাস্তায়। যার যখন খুশি, তখন রাস্তায় নেমে পড়ার কারণে শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকায় দেখা দিয়েছে যানজট। 
এখন প্রতিদিন নগরের সাহেববাজার, গণকপাড়া, রেলগেট, শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় মারাত্মক অটো জট। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
নগরীর রেলগেট এলাকায় অটোরিক্সা চালক ইমরান বলেন, ‘এখন আর টাইম-সিস্টেম নাই। যার যখন খুশি গাড়ি চালাচ্ছে। আমিও চালাচ্ছি। 
সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আগে মাঝেমধ্যে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে লাইসেন্স চেক করতাম। অনেক নম্বরের বিপরীতে একাধিক গাড়ি চলে, কিংবা লাইসেন্স নেই এ রকম গাড়ি পেলে জব্দ করতাম। আর নির্ধারিত শিফট অমান্য করে গাড়ি চালালে ব্যবস্থা নিত পুলিশ। এখন সব কার্যক্রমই বন্ধ। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, এখন মোটিভেশনাল পর্যায়ে চলছে। অটোরিক্সা চালকদের বোঝানো হচ্ছে। ট্রাফিক আইনে কোনো মামলাও হচ্ছে না।

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী হ রাজশাহী শহরে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে মাত্রাতিরিক্ত অটোরিক্সার চলাচল। প্রয়োজনে অতিরিক্ত অটোরিক্সায় ক্রমেই ভরেছে নগরী। এ অবস্থায় যানজট কমাতে কৌশল বের করেও সফল হতে পারেনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ফলে নগরীর সর্বত্র অটোজটে এখন নিত্য ভুগছে নগরবাসী। 
রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে রিক্সাজট এড়াতে অটোরিক্সাগুলোকে মেরুন ও সবুজ রং করতে বাধ্য করা হয়। তারপর শিফট ভাগ করে অটোরিক্সা চলাচল করতে দেওয়া হয়। তাতে শহরের যানজট কিছুটা কমলেও এখন আবার সব অটোরিক্সা একসঙ্গে চলছে সড়কে। ফলে শহরে অটো জট স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো তদারকি এখন নেই। ট্রাফিক পুলিশও অনেকটা নীরব। তাই পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে না। 
রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, আগের সব অটোরিক্সার নিবন্ধন বাতিল করে ২০২১ সালে নতুন করে ৮ হাজার ৯০০টির নিবন্ধন দেওয়া হয়। কিন্তু শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। এছাড়া অগণিত ব্যাটারিচালিত রিক্সা আছে। ব্যাটারিচালিত রিক্সার নিবন্ধন আছে মাত্র ১৪ হাজার ২৬২টির। এই রিক্সা-অটোরিক্সা একসঙ্গে শহরে চলাচলে যানজট দেখা দেয়। জানা যায়, ২০১৯ সালের দিকে অটোরিক্সাগুলোর সময় ভাগ করে দেওয়া হয়। মাসের প্রথম সপ্তাহে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেরুন রং এবং বেলা আড়াইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবুজ রঙের অটোরিক্সা চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। আর পরের সপ্তাহে সকাল ৬টা থেকে ২টা পর্যন্ত সবুজ এবং আড়াইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেরুন রঙের অটোরিক্সা চলাচল করার কথা। এতদিন এভাবেই চলছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লে সব রিক্সা-অটোরিক্সা একসঙ্গে নেমে পড়ছে রাস্তায়। যার যখন খুশি, তখন রাস্তায় নেমে পড়ার কারণে শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকায় দেখা দিয়েছে যানজট। 
এখন প্রতিদিন নগরের সাহেববাজার, গণকপাড়া, রেলগেট, শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় মারাত্মক অটো জট। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
নগরীর রেলগেট এলাকায় অটোরিক্সা চালক ইমরান বলেন, ‘এখন আর টাইম-সিস্টেম নাই। যার যখন খুশি গাড়ি চালাচ্ছে। আমিও চালাচ্ছি। 
সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আগে মাঝেমধ্যে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে লাইসেন্স চেক করতাম। অনেক নম্বরের বিপরীতে একাধিক গাড়ি চলে, কিংবা লাইসেন্স নেই এ রকম গাড়ি পেলে জব্দ করতাম। আর নির্ধারিত শিফট অমান্য করে গাড়ি চালালে ব্যবস্থা নিত পুলিশ। এখন সব কার্যক্রমই বন্ধ। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, এখন মোটিভেশনাল পর্যায়ে চলছে। অটোরিক্সা চালকদের বোঝানো হচ্ছে। ট্রাফিক আইনে কোনো মামলাও হচ্ছে না।

×