ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

সুন্দরবনে ২১ দেশের সেনা কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট 

প্রকাশিত: ১৬:০২, ৩ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ১৬:০৮, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সুন্দরবনে ২১ দেশের সেনা কর্মকর্তা

সুন্দরবনে বিশ্বের ২১ দেশের ৭৫ জন সেনা কর্মকর্তা

বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ঘুরে দেখলেন বিশ্বের ২১ দেশের ৭৫ জন সেনা কর্মকর্তা। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিশেষ প্রশিক্ষণ সফরে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা, কুয়েত, কাতার ও নেপালসহ ২১টি দেশের সেনাবাহিনীর ৭৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ করমজলে আসেন। তাঁরা সুন্দরবন ঘুরে দেখেন। এসব কর্মকর্তাদের কয়েকজনের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। পরে দুপুরের দিকে তারা সুন্দরবন ত্যাগ করেন।

হাওলাদার আজাদ কবির আরও বলেন, আমরা বিদেশি সেনা কর্মকর্তাদের সুন্দরবন ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। সুন্দরবন সম্পর্কে তাদের বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়েছে। তারা করমজল বন্যপ্রাণী কেন্দ্র ঘুরে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত: দেশি-বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বনের আন্ধারমানিক, আলিবান্দা, শেখেরটেক ও কালাবগীতে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে বন অধিদপ্তর। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শেখেরটেক পর্যটন কেন্দ্রে শিবসা নদীর অপরূপ দৃশ্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ৪০০ বছরের পুরাতন মন্দির, ওয়াচ টাওয়ার, বাঘের আনাগোনা রয়েছে। নতুন পর্যটন কেন্দ্রে বন্যপ্রাণীর পদচারণ, পাখি পর্যবেক্ষণ, বনের নির্জনতা উপভোগ করতে ফুট ট্রেইল, ঝুলন্ত ব্রিজ, গোলঘর ও স্যুভেনি শপ নির্মাণ করা হয়েছে।

খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, নতুন পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকবান্ধব অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সুন্দরবনের আশপাশে কমিউনিটিভিত্তিক ইকো-কটেজ গড়ে উঠেছে। সেখানে কাছাকাছি থেকে রাতের বেলায় বনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস সুন্দরবন ভ্রমণের সেরা সময়। এ সময় নদী ও সমুদ্র শান্ত থাকে বলে সুন্দরবনের সব দর্শনীয় জায়গা সহজেই ঘুরে দেখা যায়। 

 

এম হাসান

×