ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

বেড়িবাঁধ নির্মাণ দাবিতে পানিতে নেমে প্রতিবাদ 

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ৩ অক্টোবর ২০২৪

বেড়িবাঁধ নির্মাণ দাবিতে পানিতে নেমে প্রতিবাদ 

পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর তীরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

অস্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবন থেকে বাড়ি-ঘর, চলাচলের রাস্তাঘাট রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর তীরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল এগার টায় জোয়ারের পানিতে নেমে সেখানকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচী শেষে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ফকু, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মোল্লা, শাহীন মোল্লা, সোহেল মোল্লা, ভুক্তভোগী কৃষক মোশারফ হাওলাদার, বেল্লাল হোসেন, মোসাঃ হালিমা আয়শা, মেহেদী হাসান প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, পশ্চিম লোন্দা গ্রামের ২৫০ টি দরিদ্র পরিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। আমরা জোয়ার ভাটায় ডুবি-ভাসি। আমরা বেঁচে থাকার জন্য, কৃষি জমি রক্ষায় একটি টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। 

কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর তীরে জেগে চরে দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছে প্রায় ২৫০টি পরিবার। যাদের অধিকাংশ বসতভিটা এবং ফসলী জমি বিএস জরিপে মালিকানা রেকর্ড হয়। কিছু পরিবার সরকারের খাস জমিতে বন্দোবস্ত নিয়ে বসবাস করছেন। 

বহুদিনে গড়ে উঠেছে এই গ্রামটি। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকার ফলে প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে থাকে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট এমনকি ফসলী জমি। জমিতে বীজ বোপনের পর আতঙ্কে থাকেন কৃষক। কখন পানি উঠে সব তলিয়ে যায়।  

বক্তারা বলেন, জোয়ার-ভাটা আমাদের এলাকার প্রায় ২৫০ পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে যায়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ার কারণে আমরা রান্না করতে পারি না। বিগত দিনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময়ে ৪ দিন পর্যন্ত আমাদের বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে ছিল। জোয়ার-ভাটা কৃষি জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে বছরে একবার চাষাবাদ করতেও আমাদের কষ্ট হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সোহেল মোল্লা বলেন, আমাদের প্রায় ২০০ একর জমি তলিয়ে থাকে। তিন ফসলী এই জমি অথচ আমরা এক ফসলও চাষাবাদ করতে পারি না। আমরা অনেক কষ্টের মাঝে আছি। আমাদের এখানে একটা টেকসই বেড়িবাঁধ খুবই প্রয়োজন।  

 এসআর

×