ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

পাঁচ মাদক কারবারির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল জনতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আদমদীঘি, বগুড়া

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাঁচ মাদক কারবারির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল জনতা

উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের চা বাগান মহল্লায় বিক্ষুব্ধ জনতা এভাবে ভেঙ্গে ফেলে পাঁচ মদক করবারির বসতবাড়ি

শনিবার উপজেলার সান্তাহার শহরে মাদকবিরোধী বিক্ষুব্ধ জনতা বসতবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করেছে পাঁচ মাদক কারবারিকে। সুধি সমাবেশ এবং মাইকিং প্রচারের মাধ্যমে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়ার ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা বহাল ছিল। এ কারনে শুক্রবার ফের মাদকবিরোধী সুধি সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ চলার সময় উপস্থাপক তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন।

এসময় জিনাত বেগম নামের এক মাদক কারবারি তার ভাগিনাকে নিয়ে উপস্থাপক মানিক হোসেনের ওপর হামলা চালায়। এ কারনে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। ফলে শনিবার ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা ও জংশন শহরের ৭নং ওয়ার্ডের চাবাগান মহল্লার হরিজন কলোনির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রেলওয়ের জায়গায় বসতবাড়ি তৈরি করে ১৭ মাদক কারবারি গত প্রায় দুই যুগ ধরে হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল এবং নেশা জাতীয় ইনজেকশন অ্যাম্পুল বিক্রি করে আসছিল।

এনিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হলেও বিগত সরকারদলীয় স্থানীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং পুলিশ প্রশাসনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি। গত ৯ সেপ্টম্বর সুধি সমাবেশ করে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এরপর একই ব্যানারে মাইকিং প্রচারের মাধ্যমে ফের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু কোনো কর্ণপাত করেনি মাদক কারবারিরা। এতাবস্থায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে শনিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।

এদিন দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত  মাদক কারবারি রহিমা বেগম শুটকি, তার বেয়াইন হামিদা বেগম ও তার পবিরার, মিনহাজ-জুলি, শাহিন ও টুকুর বসতবাড়ি থেকে সব রকমের আসবাব বের করে দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করে। মাহবুব আলম নামের মাদকবিরোধী আন্দোলনের এক সমন্বয়ক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবশিষ্ট ১২ মাদক কারবারিকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য ফের সময়  দেওয়া হয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় চলে না গেলে তাদেরও একই উপায়ে উচ্ছেদ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, এবিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। 

মহেশপুরে ৩৫ কোটি টাকা মূল্যের মাদক ধ্বংস
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ থেকে জানান, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৫ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে মহেশপুরের খালিশপুরে ৫৮ বিজিবির সদর দপ্তরে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর সদর দপ্তরের কমান্ডার কর্নেল মারুফুল আবেদীন, ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আজিজুস শহীদ, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

×