ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পদ্মার ইলিশ

​​​​​​​নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর

প্রকাশিত: ২৩:২০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে  পদ্মার ইলিশ

.

ভরা মৌসুমেও পদ্মা-মেঘনায় নদী থেকে ধরা ইলিশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এখানকার ইলিশের স্বাদ সুখ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে যে কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন ইলিশ কিনতে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসছেন। কিন্তু ইলিশের দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, ঢাকার চাইতেও চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেশি।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে খুচরা পাইকারি ইলিশ কেনাবেচাতে আড়তগুলো সরগরম। তবে পাইকারির চাইতে খুচরা ইলিশের ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।

কথা বলে জানা গেল, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন এই ঘাটে প্রতিদিনই ইলিশ কিনতে আসেন। ঘাটের পাশেই পর্যটন কেন্দ্র তিন নদীর মোহনা। যে কারণে ভ্রমণে আসা লোকজনও ইলিশ কেনার জন্য এই ঘাটে ভিড় করেন।

ঢাকা থেকে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা রবিন বলেন, ঢাকাতে যে ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হয় ১২শথেকে ১৪শটাকা। ওই সাইজের ইলিশ এখানে বিক্রি হচ্ছে ১৬শথেকে ১৮শটাকা। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ইলিশের সরবরাহ কম বলে জানাচ্ছেন।

লাকসাম থেকে ইলিশ কিনতে এসেছেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ৭শথেকে ৮শটাকার মধ্যে ইলিশ পাব আশায় এসেছি। কিন্তু এখানে ৫শগ্রাম ওজনের ইলিশই বিক্রি হচ্ছে হাজার থেকে ১১শটাকা। আমাদের আয় কম। তাই ইলিশ না কিনে ফিরে যেতে হচ্ছে।

একই এলাকা থেকে আসা মজিবুর রহমান বলেন, ঘুরতে এসেছি তিন নদীর মোহনায়। ঘুরেছি কিন্তু ইলিশ কিনতে পারিনি। কারণ ইলিশের যে দাম, তাতে আমাদের পক্ষে ইলিশ কেনা সম্ভব না।

জহিরুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গত বছর ঠিক এই সময়ে এই ঘাটে ইলিশ কিনতে এসেছি। তখন এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২শথেকে ১৫শটাকা। কিন্তু এখন ওই সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২হাজার টাকা। আর কেজি ওজনের বেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে হাজার ৫শথেকে হাজার টাকা। আগে দুর্নীতি চাঁদাবাজি থাকায় ইলিশের দাম বেড়েছে। কিন্তু এখন সেগুলো না থাকলেও ইলিশের দাম কমছে না। একাধিক খুচরা ইলিশ বিক্রেতা বলেন, বেশি দামে ইলিশ ক্রয় করতে হচ্ছে। যে কারণে চড়া দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আর গত বছর তুলনায় ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। সেই হিসেবে সরবরাহ নেই।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, ইলিশ পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর উৎপাদন কমছে। সে হিসেবে চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু তুলনামূলক দাম বাড়েনি। ক্রয়ের আলোকে আমাদের বিক্রি করতে হয়। তবে মৌসুমের শেষ সময়েও যদি সরবরাহ বাড়ে এবং নদীতে ইলিশ ধরা পড়ে তাহলে দাম কিছুটা হলেও কমবে।

×