ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

সংযোগ সড়ক নেই

ভূঞাপুরে সেতুতে যেতে লাগে টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২১:৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভূঞাপুরে সেতুতে যেতে লাগে টাকা

ভূয়াপুরের মমিনপুর উত্তরপাড়া চিনাখড়ি-নইলাখড়ি বিলে নির্মিত ব্রিজ

ভূঞাপুরের ফলদা ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলের লোকজনের পাঁচ গ্রামের চলাচলের মাধ্যম মমিনপুর-ফলদা বাজার সড়ক। এসব গ্রামের লোকজনের বাজারঘাট, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার নির্ভরযোগ্য বিদ্যাপীঠগুলো ফলদা বাজার এলাকায় হওয়ার কারণে এ রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক বেশি। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এ বিলে সেতু নির্মাণের। এরই ধারাবাহিকতায় ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতু এবং সেতুর দুই পাশে রাস্তা নির্মাণের কাজ পান বিলাস বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে সাব-ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেন বিএনপির এক নেতাকে। গত মে মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ তো হয়ইনি কাজেও রয়েছে নানা গাফিলতি। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এলাকাবাসীর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য, পানি শুকিয়ে গেলে ব্রিজের দুই পাশে রাস্তাসহ অন্যান্য কাজ  করা হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চার পাশে থইথই পানি মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে মূল সেতু। দু’পাশে কোনো রাস্তা নেই। পাশ দিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হয়। সেতুর দু’পাশে ডানা সেতু থেকে ফাঁক হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পানি থাকলে আরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিমত অভিজ্ঞদের।
মমিনপুর গ্রামের আব্দুল মদ বলেন, ব্রিজটির কাজ শেষ করার কথা ছিল চার-পাঁচ মাস আগেই। কিন্তু এখনো শেষ করেনি ঠিকাদার। ঠিকাদার তাদের মনমতো কাজ করে চলে গেছেন। একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের আগে রাস্তা দরকার। ব্রিজটি যেভাবে করছে তাতে একদিকে হেলে পড়েছে।  ব্রিজটির সাব-ঠিকাদার লিটন জানান, নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। পানি শুকিয়ে গেলে দুই পাশে রাস্তা করা হবে। অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিলের মধ্যে ব্রিজের কাজ এখনো শেষ হয়নি। পানি চলে আসায় কাজ বন্ধ ছিল। পানি শুকিয়ে গেলে আবার কাজ শুরু হবে।

×