ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

নয় হাজার পরিবারের ১৫ টাকা দরের চাল পাওয়া অনিশ্চিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নয় হাজার পরিবারের ১৫ টাকা দরের চাল পাওয়া অনিশ্চিত

চাল। ফাইল ফটো

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নয় হাজার দুই ৩৬ দরিদ্র পরিবারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ কেজি করে চাল পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ১৫জন ডিলার পদত্যাগ করায় এমন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। 

বিগত সরকারের নিয়োগ দেওয়া ৩৪ জন ডিলারের মধ্যে ১৯ জন ডিলার খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে এ মাসের বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। ২০ হাজার ১৫৫টি দরিদ্র পরিবার এ চাল কেনার সুযোগ পওয়ার কথা রয়েছে।

 কিন্তু ১৫ডিলার নতুন করে নিয়োগ না দেওয়ায় দরিদ্র নয় হাজার পরিবারের সেপ্টেম্বর মাসের চাল বিতরণে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। খাদ্য বিভাগ নতুন ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ২৭টি আবেদনও জমা পড়েছে। কিন্তু খাদ্য বান্ধব কমিটির সিদ্ধান্ত কবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। ফলে এ দরিদ্র পরিবারগুলো ১৫ টাকা কেজি দরের চাল পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

এসব দরিদ্র পরিবারের এখন চালের সংকট চলছে। কারণ শ্রমজীবী দরিদ্র এপরিবারে আশ্বিনের টানাপোড়েন চলছে। কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে, দরিদ্র, অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কৃষক শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করে কম দামে চাল বিক্রির এ কার্যক্রম চালু করে সরকার। বর্তমানে সরকার পরিবর্তনের কারণে এখানকার ১৫ জন ডিলার পদত্যাগ করায় এ মাসের চাল বিতরণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।

কলাপাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. নুরুল্লাহ জানান, ১৫ জন ডিলার নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এজন্য ২৭টি আবেদন জমা পড়েছে। খাদ্যবান্ধব কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করা হবে। তবে এ মাসে নয় হাজার পরিবারকে চাল বিতরনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি এ কর্মকর্তা।

খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার দরিদ্র কৃষক শ্রমজীবী ২০ হাজার ১৫৫টি পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে ১৫টাকা কেজি দরের চাল কিনে খাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছে। বছরে পাঁচ মাস এ খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন তারা। মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর- এই তিন মাস এই খাদ্য সহায়তা পেয়ে আসছেন। 

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ খাদ্যবান্ধব কর্মর্সূচি চালু করা হয়। এজন্য সুবিধাভোগীদের তালিকা করে কার্ড প্রদান করা হয়েছে। তারা কার্ড দেখিয়ে ১৫ টাকা কেজি করে ডিলারদের কাছ থেকে চাল কেনার সুযোগ পেয়ে আসছেন।

এসআর

×