
সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরগুলোয় পানি
পদ্মা নদীর পানিতে বন্দি নি¤œœাঞ্চলের মানুষ ত্রিমুখী ভোগান্তিতে পড়েছেন। উজানের ঢলে ফারাক্কার ভাটিতে নদীটিতে পানি বাড়ায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার, শহরমুখী হওয়ার জন্য নৌকা এবং গো-খাদ্য সংগ্রহ করতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে তাদের। তবে পানিতে বন্দি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মায় অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নি¤œœাঞ্চলের বাড়ি-ঘরগুলোয় পানি ঢুকে পড়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুরের বেশ কয়েকটি মহল্লার প্রায় ৭০০ পরিবার। তাদের বাড়িতে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে। ইতোমধ্যে অনেকের বাড়ির টিউবওয়েল ডুবে গেছে। সেখানকার অনেক দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। দোকানপাট বন্ধ থাকায় শুকনা খাবার সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা।
একইসঙ্গে শহরের দিকে যেতে নৌকার প্রয়োজন পড়ছে। কিন্তু নৌকারও সংকট দেখা দিয়েছে এসব এলাকায়। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে পানি বাড়ছে পদ্মা নদীতে। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৩০ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে নি¤œাঞ্চলে কিছু এলাকা পানিবন্দি রয়েছে। উপজেলা দুটির নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে শুকনা খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।