ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

নীলফামারীতে বেজার জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ 

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নীলফামারীতে বেজার জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ 

সদর উপজেলার ঢেলাপীরে বাংলাদেশ অর্থ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত জমি অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

দেশের ছন্দপতনের সুযোগে একটি প্রভাবশালী চক্র সদর উপজেলার ঢেলাপীরে বাংলাদেশ অর্থ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষর (বেজা) বরাদ্দকৃত জমি অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে সেখানে অর্ধশতাধিক দোকান ঘর, গুদাম ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। 
বুধবার সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী মৌজার ২৮ দশমিক ২৪ একর ও কাদিখোল মৌজার ৭৭ দশমিক ৮২ একরসহ মোট ১০৬ একর খাস জমি রয়েছে। যা  সরকারের পক্ষে  ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ দীর্ঘমেয়াদি লিজ দেওয়া হয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নিকট। তৎকালীন সময় সরকারের পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে নীলফামারী জেলা প্রশাসক দলিল করে দেন। এরপর থেকে ওই জমির দায়দায়িত্ব দেখভাল করে আসছে ‘বেজা’।

তবে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভবনের কাজসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না করায় জমিগুলো খালি পড়েছিল। কিন্তু দেশের ছন্দপতনে হঠাৎ করে তা দখল হতে শুরু করে। অর্থনৈতিক জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাশেম বলেন, এটি সরাকারের উন্নয়ন প্রকল্পের জায়গা। এই জমি দখলের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা অচিরেরই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইব।  
লিটন নামে এক ব্যক্তি প্লট আকারে জমি বিক্রির বিষয়ে তদন্ত করার পরামর্শ প্রদান করেন ইকবাল হোসেন।  তবে অভিযোগের বিষয়ে মশিউর রহমান লিটন মুঠোফোনে বলেন, আমি বাড়িভাড়া দিয়েছি বা আমার কোনো বাড়ি সেখানে আছে কি না সাংবাদিকরা যাচাই করেন। কেউ যদি বলতে পারে তাহলে আমার নামে যা লিখার লিখবেন আপনারা। ওখানে মার্কেট-বাড়ি তৈরি করছে জিয়া। 
অপরদিকে বাদশা রহমান ও কবির চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংগলশী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন,‘আমরা ওই অঞ্চলের একটি রিপোর্ট আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। দখলের বিষয়ে তাদের একাধিকবার নিষেধ করার পরও তারা কথা শুনে না।’

×