ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১

হাওড়ে ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:১৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাওড়ে ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার

চন্দ্রসোনার থাল ও ধারাম হাওড় ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করা হচ্ছে

ধর্মপাশায় চন্দ্রসোনার থাল ও ধারাম হাওড় ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করা হচ্ছে। রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য কবীর মিয়ার নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র হাওড়ে ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পানি উন্নয়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোমবার ও মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দুটি ভীমজালসহ একজনকে আটক করেন।

বিগত দিনে এসব ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ কেটে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছেন তাদেরই বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওড়, ধারাম হাওড়সহ রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের উলশখালী গ্রাম হতে রাজাপুর মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত এবং রাজাপুর উত্তর হাটি হতে দৌলতপুর গ্রাম পর্যন্ত দুটি বেড়িবাঁধের ১০টি স্থান কেটে মাছ ধরছে।

গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন। 
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজাপুর গ্রামের বিএনপি নেতা ও ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কবীর মিয়ার নেতৃত্বে রাজাপুর গ্রামের মাসুম, মাসুদ, পাপ্পু, নূরুল হক, লাল মিয়া, মারুফ, শায়েস্তা মিয়া, পক্ষি মিয়া, সৈয়দ হোসেন, দৌলতপুর গ্রামের সারু মিয়া, কাচ্ছু মিয়াসহ সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র রাতের অন্ধকারে কোটি টাকার ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করছে। উল্লেখিত ব্যক্তিরা বিগত দিনেও ফসলরক্ষা বাঁধ কাটার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। 
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, চন্দ্রসোনার থাল হাওড় ও ধারার হাওড়সহ একাধিক হাওড়ে ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে কেটে রাজাপুর ও দৌলতপুর গ্রামের সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র রাতের অন্ধকারে মাছ শিকার করছে। যারা ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. অলিদুজ্জামান ওই বাঁধগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন বলে ইউএনও জানান।

×