ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১

মিনি সমুদ্র সৈকত মুছাপুর

গিয়াসউদ্দিন ফরহাদ, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:০০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিনি সমুদ্র সৈকত মুছাপুর

সৌন্দর্যের লীলাভূমি মুছাপুরে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মুছাপুর ক্লোজার, দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মিলনমেলা দৃষ্টিনন্দন সৈকতে। বৃষ্টি¯œœাত সময়ে বাড়ে সব বয়সী মানুষের আনাগোনা। দূর-দূরান্ত থেকে শত শত দর্শনার্থী প্রতিদিন ভিড় করছেন এখানে। ফলে, মুছাপুর ক্লোজারকে ঘিরে জেলার বিনোদনের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 
উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে রয়েছে এই মুছাপুর ক্লোজার-মিনি সমুদ্র সৈকত। প্রতিবছর বর্ষার শুরুতে প্রবাহিত পুনর্ভবা নদীর দুই কূল ছাপিয়ে জলমগ্ন হয়ে অপরূপ রূপে সাজে। এই সময়টাতে দর্শনার্থীদের কাছে পরিচিতি পায় মুছাপুর ক্লোজার। অনেকেই মুছাপুর ক্লোজারকে বলে থাকেন ‘মিনি সমুদ্র সৈকত’। মাঝেমধ্যে বর্ষাকালে এখানে পানি বৃদ্ধি পেলে নৌপথে যাতায়াত করা যায়। 
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে তা অন্য রূপ ধারণ করে। ঘুরতে আসা দর্শনার্থী স্থানীয় বিএনপির নেতা আব্দুল হাই সেলিম জানান, মুছাপুর ক্লোজারে যাওয়া পর্যটকদের জন্য অনেক সুব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া বনভোজনের জন্য কয়েকটি ছোট-বড় পিকনিক স্পটে প্রায় প্রতিদিনই বনভোজন হয়ে থাকে। 
সোমবার দুপুরে দর্শনার্থী শিক্ষক দেওয়ান হোসেন জাবেদ জানান, অনেকদিন ধরে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে মুছাপুর ক্লোজারে আসার ইচ্ছা ছিল, অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তা সম্ভব হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী গিয়াস উদ্দিন রনি জানান, মুছাপুর ক্লোজারের সৌন্দর্যের কথা শুনেছি, কিন্তু আসা হয়নি। পানি বাড়লে এর রূপ বদল হয়ে যায় বলে শুনেছি।

এখন অনেক পানি। স্থানীয় কলেজের অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন মিলন জানান, অপার সৌন্দর্যের এই সৈকতে আমার স্ত্রীর চাকরি স্থল সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহীদ উদ্দিনসহ সকল শিক্ষককে নিয়ে মুছাপুর ক্লোজারে বেড়াতে এসেছি। আমাদের সঙ্গে যারা এসেছে তারাও খুব খুশি। অপরূপ এক দৃশ্য।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত এবং সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন, ব্যাংকার্স নেতা রাহাত সোমবার দুপুরে জানান, দুই চোখ যেদিকে যায়, শুধু সবুজ আর সবুজ। আশা করছি, জায়গাটি দর্শনার্থীদের জন্য আরও উপযোগী করে তুলবেন সংশ্লিষ্টরা। মুছাপুর ক্লোজারকে ঘিরে অনেক সম্ভাবনা আছে।
বিশেষ করে এখানে নতুন করে দোকানপাট হলে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হবে। রাত হলে দর্শনার্থীরা কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এই সংকট কাটাতে পারলে অনেকেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসবেন মুছাপুর ক্লোজারে। এখানে নিরাপত্তার ঘাটতি আছে। উঠতি বয়সের ছেলেরা মেয়েদের দেখলেই উত্ত্যক্ত করে।

কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে, ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এটার দিকে নজর দেওয়া উচিত। মুছাপুর ক্লোজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, এখানে আসার পর শুনেছি মুছাপুর ক্লোজারের কথা।

×