ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১

ঝিনাইদহ জিকে সেচ প্রকল্প

শত শত বিঘা জমি ও স্থাপনা বেদখল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শত শত বিঘা জমি ও স্থাপনা বেদখল

বেদখলে জিকে সেচ প্রকল্পের শত শত বিঘা জমি ও স্থাপনা

শত শত বিঘা জমি ও স্থাপনা দিন দিন হয়ে যাচ্ছে বেদখল। বছরের পর বছর দেখভাল ও তদারকি না করায় হচ্ছে লুটপাট। যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের এসব জায়গা। প্রকল্পের দশা এমন বেহাল হলেও কোনো মাথাব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের। দোহাই দিচ্ছেন লোকবল সংকটের।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু ও সদর উপজেলায় জিকে সেচ প্রকল্পে প্রায় ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ বিঘা জমি বেদখল ও পরিত্যক্ত হয়ে আছে। এসব স্থানগুলোতে দখলদার আছে ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’।
সোমবার শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সেখানে অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা অফিসের স্থাপনাগুলো বন জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। খুলে যাচ্ছে ওইসব ভবনের ইট। সেই সাথে ধসে পড়ছে দেয়াল। কোথাও আবার চুরি হচ্ছে জানালা দরজাসহ সেচ খালের লোহার গেট। এরই মাঝে দখলে মেতে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গড়ে তুলেছে দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা ।
গাড়াগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আজাদ হোসেন বলেন, জিকে সেচ প্রকল্পের শত শত বিঘা জমি ও স্থাপনা  বছরের পর বছর বিলীন হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়া আর সংস্কার না করার কারণে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর এসব স্থাপনা দখল করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। জিকের এই স্থাপনাগুলো দখলমুক্ত করে ভাড়া দিলে বা অন্য কোনো প্রকল্পে ব্যবহার করলে সরকার রাজস্ব পেত।

একই এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, জিকের বিভিন্ন শাখা অফিসে শত শত বিঘা জমি পড়ে আছে। সেসব শাখা অফিসে বড় বড় গাছ রাতের আঁধারে লোকজন কেটে নিয়ে যায়। দেখভালের কেউ না থাকায় দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। দখলদাররা ঘর-বাড়ি তৈরি করেছে। আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে আসত। কিন্তু এখন আর আসে না। জিকে সেচ খালেও এখন পানি ঠিক মতো দেওয়া হয় না।

যে কারণে সেচ খালের লোহার গেটগুলোও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দাদের কথা বিবেচনা করে জিকের এসব স্থাপনা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে আমরা আমাদের শাখা অফিসসহ স্থাপনাগুলো দেখভাল করতে পারছি না। কিছু কিছু স্থানে দখলদার উচ্ছেদ করেছি। নতুন করে প্রকল্প হাতে নিয়েছি। অনুমোদন হলেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

×