ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল

ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত খারাপ পদক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত খারাপ পদক্ষেপ

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিরাজনীতিকরণ কোনো সমস্যার সমাধান না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের খারাপ পদক্ষেপ। শনিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে অন্ধকারের মানুষরা লাভবান হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার লম্বা সময়ব্যাপী থাকতে পারে না। এটা কেউ চাইলে ভুল সিদ্ধান্ত নেবে এবং এটা কখনোই কাজে দেবে না। এটা করলে দেশে আরেক বড় রকমের সমস্যা তৈরি হবে। কী সমস্যা হবে, এটা তো এখন বলা যাবে না। তবে দেশের মানুষ এটা মানবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকতে হবে, রাজনীতিকে গ্রহণ করতে হবে। মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলে দিলে সমস্যার সমাধান হবে না। যেখানে সমস্যা, সেখানে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্র সংগঠনগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে আমি এটাতে একমত যে, ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করা যাবে না।

এটাকে বাদ দিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, এসব বিষয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বললেই সমাধান আসতে পারে। তা না করে এটা কি জোর করে করা যাবে? তাহলে ‘হোয়াট ইজ ডিফারেন্স বিটউয়িন মার্শাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দিস গভর্নমেন্ট’। আমাকে তো রাজনীতির মধ্যে থেকে রাজনীতি দিয়ে কাজটা করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনীতি ওপেন রাখতে হবে। রাজনীতিকে এমনভাবে 
‘মোটিভেট’ করতে হবে যেন ভালো রাজনীতি হয়, সুস্থ রাজনীতি হয়। আর ক্রাইম বন্ধ করতে হবে। যেমন- হল দখল, সিট দখল, গণরুম এসব বন্ধ করতে হবে। এভাবে রাজনীতি বন্ধ করা উচিত হবে না। তবে আমি মনে করি, ছাত্র রাজনীতি যদি সুস্থ না হয়, দেশের রাজনীতি সুস্থ হবে না। আর ছাত্র রাজনীতি থেকে যদি নেতৃত্ব তৈরি না হয় তাহলে জাতির নেতৃত্ব তৈরি হবে না।
ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘দ্যাট ইজ এ ব্রিডিং গ্রাউন্ড’। এখানে তৈরি হয় এবং এখান থেকেই রাজনৈতিক দলের নেতা ‘রিক্রুটমেন্ট’ হয়। 
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যুরোক্রেসিতে বলেন, রাজনীতি বলেন, সব কিছু তো ছাত্রদের মধ্য থেকেই আসবে। আমাদের ছেলে-পেলেরা যে রাজনীতি বিমুখ হয়ে গিয়েছিল তার কারণ হচ্ছে যে, ছাত্র রাজনীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চলে গিয়েছিল। এখন আবার তারা আসতে শুরু করেছে। এখন যদি আমরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেই, তাহলে কারা ভালো রাজনীতিবিদ হবে? তবে যারা অন্ধকারের মধ্যে কাজ করে তাদের জন্য ভালো হবে, যারা আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে কাজ করে, তারা লাভবান হবে ছাত্ররাজনীতি না থাকলে। 
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই যে সংস্কারের বিষয়টা, এটা কি মানুষকে বাদ দিয়ে হবে। সংস্কার করবেন মানুষের, দেশের, প্রতিষ্ঠানগুলোর, তাই না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানুষ কীভাবে দেখতে চায় সেগুলোর জন্য উচিত ছিল আমি যেটা মনে করি, আগে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলা, তাদের কাছে প্রস্তাব চাওয়া। সেই প্রস্তাবগুলো নিয়ে যারা এক্সপার্ট আছেন তাদের মতামত নেওয়া। তবে সংস্কার কাজের জন্য যাদের সিলেকশন করা হয়েছে ভালো সিলেকশন হয়েছে।

আগে উনারা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন, সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করবেন, ‘দেট ইজ লং টাইম’। তারপর আপনি প্রথমেই কিন্তু জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন। ‘পিপলস পার্টিসিপেশন’ যেটা সেটা যদি না থাকে কোনো সংস্কারই ‘সাসটেইনেবল’ হবে না। রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি জাতীয়করণ করবেন, কী করবেন না। তবে সেটা তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তাই কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন হাসপাতালকে না মেগা প্রজেক্টকে সেটা তো ‘পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট’ তাই না।
দেশে রাজনৈতিক সরকারের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই সেই সরকার গঠন করতে হবে। তবে নির্বাচনের জন্য আমি সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলিনি, বলব না, বলা উচিতও না। এটা তো একটা কাজের ব্যাপার। তবে নির্বাচন যত দেরি হবে তত দেশের ক্ষতি হবে, সমাজের ক্ষতি হবে, রাজনীতির ক্ষতি হবে।

আমরা মনে করি, এটা প্রমাণিত যে, ‘ডেমোক্রেসি ইজ বেস্ট সিস্টেম অব গভার্নেন্স’। কেন জানি না, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা কিছুটা দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তারা মনে করেন যে, তারাই একমাত্র শুধু ভালো চিন্তা করেন। আমি ভিন্নভাবে চিন্তা করি, ‘হোয়েন দেয়ার ইজ ক্রাইসিস, গো টু পিপলস, লার্ন ফ্রম দেম’। আমার ওপর চাপিয়ে দিয়ে কারও মতবাদ কিংবা চিন্তা-ভাবনা যদি দিয়ে দেয় সেটা তো হয় না। রাজনীতি বাদ দিয়ে রাষ্ট্র চালানো যাবে না। 
মির্জা ফখরুল বলেন, হত্যাকারীদের সঙ্গে যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের সরকারে রেখে দেবেন আর আপনি ভালো জিনিস করবেন তা কোত্থেকে কীভাবে হবে? তারা  মূল জায়গাগুলো নিয়ে এখনো বসে আছে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা লেজে-গোবরে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই যে একদিকে ইংরেজি শিক্ষা ব্যবস্থা, মিডিয়াম শিক্ষা ব্যবস্থা তা কতগুলো দেশের শিক্ষার সঙ্গে মিল নেই। অন্যদিকে ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। সবগুলোকে একটা জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। ‘ইউ মাস্ট হ্যাভ কল টু দি পলিটিক্যাল পার্টি’।

আপনি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেন, আপনি অন্যান্য এনজিওর সঙ্গে কথা বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন, সমাজের সমস্ত পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তারপর রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলেন, এটা খুব কঠিন কাজ না। এককভাবে আপনি যদি চিন্তা করেন, আমি এক্সপার্টদের দিয়ে করে ওইগুলো আমি চাপিয়ে দেব, তা তো কেউ মেনে নেবে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের ওপর কি আগের মতো চাপ আছে এটা জানতে ইচ্ছা করে। মালিকদের ওপর থেকে আছে কি? এর জবাবে চাপ নেই বলে সাংবাদিকরা জানালেও ফখরুল বলেন, চাপ তখনও ছিল, এখনো আছে। আপনারা বলতে চান না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধান পরিবর্তনের ব্যাপারে আমার বক্তব্য খুব পরিষ্কার। পার্টির বক্তব্য বলছি না, আমার নিজের বক্তব্য হচ্ছে, সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে আগে মানুষের কাছে জানতে হবে, তারা কী রকম পরিবর্তন চায়। আরেকটা বিষয় আছে, আমি-আপনি ক’জন এক্সপার্ট আমরা নিজেরা ঠিক করে দিলাম সেটা এক কথা।

তবে সংবিধানের আমূল পরিবর্তন বা নতুন সংবিধান করতে হলে আগে গণপরিষদ করতে হবে। গণপরিষদ তৈরি না হলে পরিবর্তন করবেন কীভাবে? তারপর ‘পাবলিক কনসেন্সাস’ তো আছেই। আপনি আইনগত দিকগুলো দেখে নেন, সেটা তো একদিনে পাল্টিয়ে দিতে পারবেন না। যেটা নিরাপদ হবে জনগণের সঙ্গে কথা বলে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমূল পরির্তন করতে চান বা নতুন সংবিধান লিখতে চান সেটা।

যে কথাটা আমি বলেছিলাম যে, নির্বাচনটা হোক এই নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার করা দরকার যেমন নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ইত্যাদি দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনটা করে সেখানে আপনি সব কিছু করতে পারেন। সংসদে আপনি সমস্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে পারেন। তবে এখন পুরো সংবিধান সংশোধন খুব ‘ডিফিকাল্ট’। একটা বিপ্লবী সরকার হলে এই সরকারের উচিত ছিল বিপ্লব করা। এই সংবিধানের অধীনে শপথ না নেওয়া। কিন্তু এই সংবিধানের অধীনেই তো এই সরকার শপথ নিয়েছে তাই না। 
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিচ্ছি সংবিধানে কী কী সংস্কার করতে হবে। আমার পার্টি থেকে কাজ শুরু করেছি। আমার মনে হয়, অন্যান্য পার্টিও কাজ করছে। তবে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা নিঃসন্দেহে উঁচুমাপের বিশেষজ্ঞ। আমি মনে করি যে, তারা ভালো করবেন। তার সঙ্গে মানুষের চাওয়াটাকে নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে সমস্ত হত্যার অভিযোগ এসেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে, আমি মনে করি এগুলো তাঁকে আদালতে ফেস করতে হবে। ‘নোবডি ইজ অ্যাভাব দ্য ল’। তাকে আইনের সামনে আসতে হবে। উনি যদি সত্যিকার অর্থে রাজনীতিবিদ হন, উনি নিজে এসে এখানে ফেস করবেন। যেটা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া করেছেন। তিনি লন্ডনে ছিলেন তিনি এসে সারেন্ডার করেছেন, তিনি ট্রায়াল ফেস করেছেন, তারপর জেলে গেছেন, এটাই হচ্ছে একজন পলিটিক্যাল লিডারের সঠিক সিদ্ধান্ত।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিশ্চয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চিন্তা করছেন। আমি এ ব্যাপারে তাদের ওপর ‘প্রোভোক’ করতে চাই না। তবে উচিত হবে তাদের অতি দ্রুত শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।
মির্জা ফখরুল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক অস্থিরতার ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাকে আমি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এর সঙ্গে অনেককিছু জড়িত আছে। একদিকে শূন্যতার সুযোগ নেওয়া, অন্যদিকে জিও পলিটিক্সে যে পরিবর্তন ঘটছে, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে আশপাশের অঞ্চলে, ওইদিকে ভারত বর্র্ষের মনিপুরের যে বিদ্রোহ এ সবগুলোকে যদি আপনি সামনে আনেন জিওপলিটিক্সের এই ঘটনাগুলো ‘ভেরি সিগনিফিকেন্ট’ বলে আমি মনে করি। তবে আমি মনে করি যে, এটা নিঃসন্দেহে একটা ‘পার্ট অব ডিস্টেবেলাইজিং দিস রুলিং গভর্নমেন্ট’।

তাদের দায়িত্বে তাদের ডিস্টার্ব করা, বাংলাদেশের পলিটিক্সকে ডি-স্টেবেলাইজড করা। অর্থাৎ এখন যে প্রক্রিয়াটা চলছে অন্যভাবে যে, আপনার যারা এটাকে বিপ্লব বলছেন, এর বিরুদ্ধে একটা প্রতিবিপ্লব ঘটানো। এর মাধ্যমে যে সুফল আমরা অর্জন করেছি সেই সুফলটাকে নষ্ট করা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, একটা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়াকে শুরু করার চেষ্টা করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে যে সমস্ত কথা বলছেন, সেগুলো কতটুকু সত্য-মিথ্যা আমি জানি না। তবে সেই কথাগুলো এখানে বড় ইম্প্যাক্ট তৈরি করছে। সব মিলিয়ে বিষয়গুলো খুব ‘কমফোর্টেবল’ না, উদ্বিগ্ন হবার বেশ কারণ আছে। 
মির্জা ফখরুল বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনার প্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অনেকটা গ্যাপ আছে। এই সরকার খুবই সিরিয়াস, তারা যদি করতে চান সবকিছু করতে পারেন। আমার কথা হচ্ছে, আমরা সহযোগিতা করি। ইতোমধ্যে তারা অনেক বড় বড় কাজে হাত দিয়েছেন, সেগুলো আমরা দেখি। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, রেগুলার পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে বিশেষ করে প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল জানান, হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ নন। উনাকে ডাক্তাররা এখন পর্যন্ত বিদেশে যেতে ফøাই করার মতো ফিট মনে করছেন না। সেজন্য বিদেশে যেতে উনার বিলম্ব হচ্ছে।
কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না- নজরুল ইসলাম খান : দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। আন্দোলনের অর্জন কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।

শনিবার দুপুরে গুলশানে বাড্ডা থানা বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে আন্দোলনে নিহত ১৯টি পরিবার এবং আহত ৪০টি পরিবারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ কাইয়ুম।

×