ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

পাহাড়ের পরিস্থিতি থমথমে

চট্টগ্রাম অফিস/রাঙ্গামাটি/ খাগড়াছড়ি/ বান্দরবান সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাহাড়ের পরিস্থিতি থমথমে

অবরোধের প্রথম দিনে শনিবার খাগড়াছড়ি ছিল যানবাহনশূন্য

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর পরিস্থিতির আর কোনো অবনতি ঘটেনি। তবে সর্বত্র থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পরিস্থিতি এখন শান্ত এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অপরদিকে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জুম্মু ছাত্র জনতার আহ্বানে পাহাড়ি তিন জনপথ রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে শনিবার রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। যানবাহন চলাচল করেনি। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জনচলাচলে ভীতি সঞ্চার হয়ে আছে। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। অপরদিকে বান্দরবান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো ছিল।

এই জনপথে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ছোঁয়া লাগেনি। বান্দরবান জেলাজুড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সহিংস ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল শনিবার রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পরিদর্শন করেছেন। সকালে প্রতিনিধি দল হেলিকপ্টারযোগে রাঙ্গামাটি পৌঁছেন। পরে সেখানে তারা স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, পুলিশের আইজি মইনুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।
দুপুরে রাঙ্গামাটি ও বিকেলে খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিএনপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিজেএসএস), জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ বক্তব্য ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

খাগড়াছড়ির বৈঠকে আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, অধ্যক্ষ বোধিসত্ত দেওয়ান, সুশীল জীবন চাকমা, সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য প্রমুখ।
রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কোনোভাবে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। যারা পরিস্থিতির অবনতি করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। যারা চেষ্টা করবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে। তিনি জানান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে সংঘাত, সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের কোথাও যেন ছন্দপতন ঘটছে। এর পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপদেষ্টারা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় পাহাড়ি বাঙালিদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

উপদেষ্টারা ষড়যন্ত্র রুখতে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান। তারা বলেন, পাহাড়কে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। যার যার অবস্থান থেকে দলমত নির্বিশেষে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান। এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে সর্বোচ্চ পরিচয় দিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

খাগড়াছড়িতে বৈঠকের পর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, পাহাড়ের সাম্প্রতিক ঘটনা দুঃখজনক। আমরা পাহাড়ে সুন্দর পরিবেশ আবারও ফিরিয়ে আনব। যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে তা আগামীতে যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। পারস্পরিক সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য জায়গার ছবি এনে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা বন্ধে সকলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।   
রাঙ্গামাটি থেকে জনকণ্ঠের নিজস্ব প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী জানান, পাহাড়ি-বাঙালিদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের হিসেবে বিক্ষুব্ধ জুম্মু ছাত্র জনতার আহ্বানে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে শনিবার জেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দোকানপাট খুলেনি। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে জনসাধারণে চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

রাঙ্গামাটির বাস, ট্রাক, সিএনজি, মিনি ট্রাক চালক মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শহরে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত। জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলার কোথাও কোনো সংঘাত বা সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। 
খাগড়াছড়ি থেকে জনকণ্ঠের পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি জীতেন বড়ুয়া জানান, অবরোধের কারণে জেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকালে খাগড়াছড়িতে সাজেক সড়ক, পানছড়ি, রামগড় সড়কে টায়ার জ¦ালিয়ে অবরোধকারী বিক্ষোভ শুরু করে। খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গাসহ আন্তঃউপজেলাগুলোতেও কোনো যানবাহন চলছে না।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরিফিন জুয়েল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অবরোধ চলছে। তবে জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। সর্বত্র নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। বাস, ট্রাক, সিএনজি, মিনিট্রাক চালক-মালিক ঐক্যপরিষদের ডাকে ধর্মঘট চলছে। এ কারণে শহরে অটোরিকশা ছাড়া অন্যান্য কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

অটোরিকশা চালক-মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিনা উস্কানিতে অসংখ্য যানবাহন ভাঙচুর হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকজন চালক। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। 
বান্দরবান থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা মোহাম্মদ আবদুর রহিম জানান, তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে অবরোধ শুরু হলেও বান্দরবানে অবরোধের কোনো কিছুই চোখে পড়েনি। 
শনিবার সকাল ৬টা থেকে বান্দরবান থেকে ছেড়ে গেছে চট্টগ্রাম-ঢাকা ও কক্সবাজারের গণপরিবহন। এ ছাড়া নৌপথেও চলছে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান জেলা সদরে অবরোধের কারণে কোথাও কোনো ধরনের কাউকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। প্রতিদিনের ন্যায় সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে এবং জনগণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক চলছে। তবে অপ্রীতিকর যে কোনো ধরনের ঘটনা এড়াতে জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। 
এ বিষয়ে বান্দরবান পূর্বাণী চেয়ারকোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝন্টু জানান, তিন পার্বত্য জেলায় ডাকা অবরোধের প্রভাব বান্দরবানে পড়েনি। সকাল থেকে বান্দরবানের সকল বাসগুলো চলাচল করছে। চলার পথে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয়নি বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মো. মামুন নামের এক যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয়।

পরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জের ধরে খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালায় সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়। দীঘিনালায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক দোকান। 
ইউপিডিএফের বক্তব্য : আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার তিন পার্বত্য জেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনসাধারণের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ প্রসঙ্গে শিরোনামে প্রদত্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে ‘ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেস নোট-এর প্রতিধ্বনি’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
শনিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফকে জড়িয়ে আইএসপিআরের অভিযোগকে বানোয়াট, সর্বৈব মিথ্যা ও প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপপ্রয়াস মন্তব্য করে দলটির মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, দীঘিনালার বোয়ালখালীতে সেটেলার বাঙালিদের কথিত মিছিল চলাকালে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল না, মিছিলের ওপর ইউপিডিএফ কর্মীদের ২০-৩০ রাউন্ড গুলি করার অভিযোগ যারপরনাই মিথ্যাচার। অনুরূপভাবে খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর এলাকায় টহলরত সেনা দলের ওপর ইউপিডিএফ কর্মীদের গুলি ছোঁড়ার কাহিনীও সত্যের অপলাপ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআরের বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করে ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়ে আরও বলেছেন, পাহাড়ে প্রতিনিয়ত সেনা-সেটেলার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জনতার মনে ক্ষোভ অসন্তোষ দীর্ঘদিন ধরে ধূমায়িত অবস্থায় ছিল। দীঘিনালায় হামলা খুন-অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবে সর্বস্তরের বিক্ষুব্ধ জনতা রাজপথে নেমে আসে এবং খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। তাতে কোনো দল বা ব্যক্তি বিশেষের হাত বা নিয়ন্ত্রণ ছিল না।

টহলরত সেনা দলের সদস্যরাই বিনা উস্কানিতে বিক্ষুব্ধ জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ে। তাতে তিনজন নিহত, অর্ধশতাধিক গুরুতর আহত এবং অগণিত লোক আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফ মুখপাত্র এটাও স্মরণ করিয়ে দেন, খাগড়াছড়িতে উক্ত দুঃখজনক ঘটনার ঠিক দু’মাস আগে গত ১৮ জুন বাঘাইহাট সেনা ক্যাম্পের নাকের ডগায় দিনে-দুপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. নাঈম নামে এক বাস হেলপারের মৃত্যু ঘটলেও সে সময় আইএসপিআর মৌনতা অবলম্বন করে, যা সচেতন নাগরিকদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ না করে পারে না। নাঈমের মৃত্যুতে বাঘাইহাট বাজারের বাঙালি দোকানদাররাও কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। সেটেলার বাঙালিদেরও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফ মুখপাত্র আক্ষেপ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতিসত্তা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনরত ইউপিডিএফ-ই একমাত্র দল যে সংগঠনটি বাস হেলপার মো. নাঈমের মৃত্যুতে কেবল নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেনি।

পাশাপাশি কালো ব্যাজ ধারণ, হত্যার বিচার ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবিতে সাজেকসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ ক’টি স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউপিডিএফ নিবেদিত রয়েছে। এই বাস্তব সত্য লুকিয়ে মিথ্যাচার, কুৎসা রটনা করে ইউপিডিএফকে ভিন্নভাবে চিত্রিত করার অপচেষ্টা দেশের জনগণের লড়াই সংগ্রাামকে দুর্বল করবে।

×