কক্সবাজারের মহেশখালী জেটি ঘাটে নাব্য সংকটে এক হাঁটু কাদা মাড়িয়ে চলাচল
মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে আবারো নাব্য সংকটে সমস্যায় মহেশখালীর জেটি। সাগরের মোহনা থেকে প্রবেশপথে বর্ষার ঢলে ভরাট হয়ে কাদায় পরিণত হয়েছে ৩০০ মিটার খাল।
ভাটার সময় স্পিডবোট কিংবা যাত্রীবাহী নৌকা থেকে নেমে কাদা মাড়িয়ে উঠতে হয় জেটিতে। তবে ঝুঁকি নিয়ে কাদা মাড়িয়ে জেটিতে পৌঁছানোর সময় অনেক যাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হন। নৌপথে কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ কক্সবাজারের মহেশখালী জেটি। তাছাড়া, কক্সবাজার প্রান্তে প্যারাবন দখল করে ভরাট ও বাকখালী নদীতে বর্ষার ঢলে প্রায় ৭০০ মিটার কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বাকখালী খাল।
নৌযান চালকরা জানান- মহেশখালী জেটির সামনের খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। জোয়ারের সময় সমস্যা না হলেও ভাটার সময় জেটি থেকে তীরের দূরত্ব দাঁড়ায় ৩০০ মিটার। খাল খনন না করলে এই দুর্ভোগ কমবে না বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও নৌযান চালকেরা।
এদিকে খাল খননের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করলেও প্রকল্প না থাকায় এ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। শনিবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, জেটি থেকে অন্তত ৩০০ মিটার দূর থেকে হাঁটু এমনকি কোমর পরিমাণ কাদা মাড়িয়ে কষ্টে জেটিতে এসে উঠছে যাত্রীরা।
রাজশাহী থেকে মহেশখালীতে আসা পর্যটক শাহনেওয়াজ রহমান বলেন, মহেশখালীর অপরূপ দৃশ্য দেখতে কক্সবাজার থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে স্পিডবোটে এখানে আসি। কিন্তু মহেশখালী চ্যানেলের তীরে স্পিডবোট যখন থামল, তখন জেটি চোখে পড়ল না। কাদা মাড়িয়েই জেটিতে উঠেছি। এমন ভোগান্তি হবে জানলে এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসতাম না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একজন প্রতিনিধি সাংবাদিক আনম হাসান। তিনি বলেন, দিনে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ এই জেটি দিয়ে আসা-যাওয়া করে। তার মধ্যে পাঁচশ’ থেকে হাজারের মতো পর্যটক থাকেন। ভাটার সময় এসব যাত্রীর দুর্ভোগ বাড়ে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে খাল খননের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ঘাট ইজারাদাররা এসব খাল খনন করবে মর্মে শর্ত দেওয়া থাকে। মহেশখালী জেটি যেহেতু বর্তমানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক নিয়ন্ত্রণ করেন সেহেতু জেলা প্রশাসক থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল খননের বিষয়টি জানাতে হবে। তাহলে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় পাঠাবে। প্রকল্প পাস হলে খাল খনন করা যাবে।