ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ, নিহত ১

নিজস্ব সংবাদাতা,রাঙ্গামাটি

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২১:২২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ, নিহত ১

সংর্ঘষে একজন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছে

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের মিছিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি-বাঙালির দুই পক্ষের সংর্ঘষে একজন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছে।

এছাড়া আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়, ব্যাংক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  তেলের পাম্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর হয়েছে।  শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কয়েকটি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর , লুঠপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা।

এই সময়ে দূর্বৃত্তরা শহরে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল ও অটোরিক্সা সহ ২০/২৫টি গাড়ি ভাংচুর করেছে।  


শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের বনরূপা, হ্যাপিরমোড়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সহ কয়েকটি স্থানে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এতে অন্তত একজন নিহত ও ৫৮জন আহত হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। নিহত ও আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ভয়াবহ সংর্ঘষের পার থেকে রাঙ্গামাটি শহরে যানবাহন চাল চল বন্ধ হয়ে গেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে  ইউপিডিএফ তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে। 

স্থানীয়রা জানান, গতকাল খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটি শহরের জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গন থেকে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মিছিলটি বনরূপায় এলে কিছু র্দুবৃত্ত শহরের সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী আসলে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে দুর্বৃত্তরা এসময় কয়েকটি দোকান ও বসত ঘরে সংযোগের ঘটনা ঘটায়।এই সময় অনতত ১৫/২০টি দোকান ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ  করেছে। 


এদিকে, রাঙ্গামাটি শহরে জানমাল নিরাপত্তায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান শুক্রবার দুপুর থেকে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। শহরের বর্তমান পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে  এখনো রাঙ্গামাটি শহরের পরিস্থিতি থমে থমে রয়েছে। 
রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।


এর আগে খাগড়াছড়ি শহরে বুধবার  সকালে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে মামুন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই মিছিলকে ঘিরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

পরে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখানে লোক মারা যায়। এসময় অনেক জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লারমা স্কয়ারে অন্তত ৮০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এই ঘটনার জেরে রাঙ্গামাটি হঠাৎ উতাপ্ত হয়ে উঠেছে। 

এবি

×