ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

চারদিন বন্ধ থাকার পর হিলি দিয়ে ভারত থেকে এলো কম শুল্কের পেঁয়াজ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চারদিন বন্ধ থাকার পর হিলি দিয়ে ভারত থেকে এলো কম শুল্কের পেঁয়াজ

কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে

চার দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ভারতীয় কাস্টমসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্কহার ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ করার বিষয়টি আপডেট করা হয়। এর পর থেকে ভারতীয় কাস্টমসে পেঁয়াজ রপ্তানির টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে টেন্ডার  প্রক্রিয়া ও শুল্ক প্রদান শেষে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বন্দর দিয়ে কম শুল্কের পেঁয়াজ আসে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশিদ বলেন, গত শুক্রবার পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ করে ভারত। একইসঙ্গে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার করে। এর পর আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে আগের বাড়তি মূল্যে করা এলসিগুলো সংশোধন করাসহ সব প্রস্তুতি নেই। কিন্তু শুল্ক কমানোর বিষয়টি ভারতীয় কাস্টমসের সার্ভারে আপডেট করা হয়নি, যার কারণে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে পারিনি। 

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ভারতীয় কাস্টমসে শুল্কহার কমার বিষয়টি আপডেট করা হয়, যার কারণে বিকেল থেকে বন্দর দিয়ে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে শুল্ক কমালেও ভারতে দাম বাড়ানোয় দেশের বাজারে দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে দুই-চারদিন গেলে ভারতে দাম কমে আসবে- সেক্ষেত্রে আমদানি বাড়ার সঙ্গে দামও কমবে। বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে থাকবে।
প্রসঙ্গত, আগে পেঁয়াজের ন্যূনতম কোনো রপ্তানি মূল্য না থাকলেও পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর এর মূল্য বাড়িয়ে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। সেই মূল্যেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন আমদানিকারকরা। পরে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহতের অজুহাত দেখিয়ে ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার পরিচালক জেনারেল সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চার মাসের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। এর পর থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।
গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। পরে ৪ মে এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার। কিন্তু রপ্তানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল দেশটির সরকার।

×