ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

বেরোবিতে ভিসি দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

সংবাদদাতা, রংপুর

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেরোবিতে ভিসি দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভিসি দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে ‘উত্তরবঙ্গ ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত রংপুরের মর্ডান মোড়ে অবস্থান করে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটক থেকে মিছিল নিয়ে মর্ডান মোড়ে আসেন শিক্ষার্থীরা।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম বলেন, ক্লাস শুরু না হওয়ায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি। ক্যাম্পাস সেশন জট সবেমাত্র মুক্ত হলেও আবারও নতুন করে সেশন জট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত ভিসি নিয়োগ দিয়ে আমাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হোক।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরিদ হোসেন বলেন, ড. ইউনূস স্যার রংপুরকে সবদিক থেকে এক নম্বর জেলা হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন কিন্তু সে রংপুরের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে আমাদের ক্যাম্পাসে ভিসি না থাকায় আমরা ক্লাস করতে পারছি না। ইউনূস সরকারের কাছে দ্রুত এর সমাধান চাই। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সদস্য আবু সাঈদ লিয়ন ও তারিকুল ইসলাম।

কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু সাঈদ লিয়ন বলেন, বছরের পর বছর ধরে রংপুরের সঙ্গে বৈষম্য করে রংপুরকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনই সময় বৈষম্য নিরসনের। রাষ্ট্র সংস্কারে সকলকেই সুযোগ দিতে হবে। আমরা মনে করি, দ্রুত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনের প্রথম ধাপ শুরু হবে। এ বিষয়ে রংপুর তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ভিসি নিয়োগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মর্ডান মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের মানববন্ধন
নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা থেকে জানান, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগের দাবিতে আবারও মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে তৃতীয়বারের মতো এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে ওইদিনও প্রতিষ্ঠানটির তালা খোলা হয়নি। ২৭ দিন ধরে সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। রীতিমতো অচলায়তনে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌথ অংশগ্র্রহণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃৃতা করেন, শিক্ষক হাফসা আক্তার, শোভন রায়, আব্দুল্লাহ আল সিয়াম, শিহাব উদ্দিন সুমন, সায়েদাতুস সাবা, জান্নাত শারমিন মুন, শিক্ষার্থী রাজিব মিয়া, সোহেল রানা, জেবুন্নাহার বর্ণ ও সংযুক্তা পাল প্র্রমুখ। বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির অচলাবস্থা নিরসন, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন চালুসহ নানান সংকট মোকাবিলায় দ্রুত সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগের দাবি করেন।

×