রাজধানীতে ভেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালে রোগী ক্রমেই বাড়ছে
প্রায় দুই বছর আগে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে প্রতিষ্ঠিত অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত দৃষ্টিনন্দন হাসপাতালটি এতদিনেও পায়নি পূর্ণ রূপ। এখনো হাসপাতালে নিয়োগ হয়নি নিজস্ব একজন চিকিৎসকও।
বিগত সরকারের সময় মাঝে মাঝে দুই/একটি অস্ত্রোপচার হলেও সম্প্রতি সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে জটিলতা তৈরি হয়েছে খোদ বিএসএমএমইউ’র প্রশাসনে। উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদের পদত্যাগের পর নতুন করে নিয়োগ হলেও কার্যত এখনো প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে রয়েছে হাসপাতালটির। যার চরম প্রভাব পড়েছে সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালটিতেও। চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবা না থাকায় রোগীদের আনাগোনা নাই বললেই চলে।
ফলে দিনের বেলাতেই বিশাল হাসপাতালটিতে প্রবেশ করলে মনে হয় ভূতুড়ে কোনো স্থাপনায় প্রবেশ করা হয়েছে। তাই সাধারণ রোগীদের দাবি পরিবর্তিত সরকার অন্তত এই স্থাপনাটির দিকে নজর দেবে। যদি বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এটি পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সরকার যেন এটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত করে নেয় এই দাবিও তাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতদিনে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থল হওয়ার কথা ছিল এই হাসপাতালটি।
কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক না থাকা, ল্যাব-যন্ত্রপাতি থাকলেও প্রয়োজনীয় টেকনিশিয়ান, কর্মী না থাকায় উচ্চ চিকিৎসা ফিসহ নানা কারণে রোগীদের এটিতে যেতে অনীহা। হাসপাতালটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় সামান্য কিছু রোগী এবং চিকিৎসকের আনাগোনা থাকলেও অন্য ফ্লোরগুলো প্রায় খালি থাকে। এসব ফ্লোরে উঠলে দিনের বেলায়ই গা ছমছম করে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এমনকি পাশাপাশি অন্য দুই হাসপাতাল বিএসএমএমইউ এবং বারডেম হাসপাতালে রোগীদের উপচেপড়া ভিড়ে স্থান সঙ্কুলান মুশকিল হয়ে পড়ে সেখানে এমন একটি স্থাপনা দিনের পর দিন অকেজো অবস্থায় থাকায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।
২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালটির অবকাঠামো উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরেরই ২৭ ডিসেম্বর থেকে সুপার এর ১৪টি বিভাগে রোগী দেখা শুরু করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা (অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক)। তবে এদের কেউই এই হাসপাতালে সরাসরি নিয়োগকৃত নন। বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকরাই শিডিউল ভিত্তিক সেবাদান শুরু করেন।
যা এখন পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও সরকার পতনের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ওইসব চিকিৎসকের অনেকেই কর্মস্থলে আসছেন না। ফলে যে সামান্য সেবাটুকু পাওয়া যেত তাও পাওয়া যাচ্ছে না। কাক্সিক্ষত সেবা না পাওয়ার কারণেই রোগীর সমাগম নেই বলে মত হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের।
বুধবার সরেজমিনে হাসপাতালটির ৪র্থ তলায় গিয়ে দেখা যায় দুই-একজন নার্সের পোশাক পরা ছাড়া আর কোনো জনমানব নেই। তবে নিচতলায় ফার্মেসি, ক্যান্টিন, দুইতলায় বিশেষজ্ঞদের চেম্বারের সামনে কিছু রোগীর আনাগোনা রয়েছে। বিএসএমএমইউ’র উত্তরপাশে ৩ দশমিক ৮ একর (প্রায় ১২ বিঘা) জমির ওপর গড়ে ওঠা এই হাসপাতালের মনোরম অবকাঠামো দর্শনে যে কোনো মানুষেরই চোখ জুড়িয়ে যায়।
বিশাল এই অবকাঠামোতে দিনে অন্তত ৫ হাজার রোগীর সমাগম থাকার কথা থাকলেও প্রতিদিন রোগী হচ্ছে মাত্র দেড় থেকে দুইশ’ জন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থায়ী চিকিৎসক নেই একজনও। এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়েছে মাত্র দেড় থেকে দুইশ’ জন। তার মধ্যে চিকিৎসক নেই একজনও।
একই চিকিৎসক বিএসএমএমইউতে সকালে ৩০ টাকা এবং বৈকালিক চেম্বারে ২০০ টাকা ফি নিলেও সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে তাকে দেখাতে গেলে দিতে হয় ১ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ না থাকায় চিকিৎসক এখানে দেখালেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য রোগীকে বিএসএমএমইউ’র প্যাথলজি বিভাগেই যেতে হয়।
রোগীদের যাতে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয় এবং দেশেই রোগীরা লিভার, কিডনি, হার্টের রোগ, ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্ব, জয়েন্ট নি রিপ্লেসমেন্টসহ সবধরনের জটিল রোগের সর্বাধুনিক উন্নত চিকিৎসাসেবা পায় সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই হাসপাতালে। স্টেম সেল থেরাপি, জিন থেরাপির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রোবটিক সার্জারিও শীঘ্রই চালু করা হবে।
হাসপাতালটিতে রয়েছে বিশ্বমানের এনআইসিইউ, পিআইসিইউ, আইসিইউসহ সবধরনের আইসিইউ ব্যবস্থা। এ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ, জরুরি বিভাগে আছে ১শ’টি শয্যা, আছে ভিভিআইপি কেবিন ৬টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিলাক্স শয্যা ২৫টি। সেন্টার ভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়েছে ৮টি করে শয্যা।
হাসপাতালটিতে রয়েছে নিউম্যাটিক টিউব যার মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহের পর অটোমেটিক্যালি নির্দেশিত বিভাগে চলে যায়, যা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়। কিন্তু কোনো বিভাগেই নিজস্ব জনবল না থাকায় প্রায় সব সেবাই ব্যাহত হচ্ছে। দিনের পর দিন অব্যবহৃত থাকায় এসব যন্ত্রপাতির অনেকগুলোই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালটির এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, হাসপাতালটি পরিচালনা করতে ১৮০০ মতো জনবল প্রয়োজন।
কিন্তু এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় আশানুরূপ রোগীর সমাগম হয় না। হাসপাতালটির ভিআইপি কেবিন তো দূরে থাক সাধারণ কেবিনেও কোনো রোগী নেই জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিএসএমএমইউতে একটা কেবিন পাওয়ার জন্য মানুষের হাহাকার লেগেই থাকে। প্রয়োজনে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের মানুষেরও সুপারিশ নিতে হয়। কিন্তু এখানে এতসব সুবিধা সত্ত্বেও রোগী আসছে না। এর একমাত্র কারণ জনবল সংকট। জনবল নিয়োগ না হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএমএমইউ’র এক সাবেক উপাচার্য এবং এই হাসপাতাল তৈরির স্বপ্নদ্রষ্টাদের একজন জনকণ্ঠকে বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা এই প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছিলাম। প্রকল্পটি বাস্তবায়নও হলো কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের স্বার্থের কারণে পুরোপুরি ব্যর্থ একটি প্রকল্পে রূপ নিয়েছে এটি। আমরা এমনটি চাইনি। কোনো বড় প্রকল্পই একদিনে সফল হবে না এ কথা ঠিক আছে।
কিন্তু দুই বছর পার হয়ে গেলেও ন্যূনতম সেবাটুকুও পাওয়া যাবে না? যেখানে পাশেই দুইটি হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ লাইন থাকে সেখানে এত বড় একটি অবকাঠামো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাসপাতালটিতে হাতেগোনা কয়েকজন রোগীও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। শুনেছি সরকার থেকে এটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। যদি তাও হয় ভালো। যেভাবেই হোক সাধারণ মানুষ যেন চিকিৎসা পায়।
জানা যায়, হাসপাতালটিতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অধ্যাপকের কনসালটেশন ফি ৬০০ টাকা, সহযোগী অধ্যাপকের ৪০০ ও সহকারী অধ্যাপকের ৩০০ টাকা। আর বৈকালিক কনসালটেশনের জন্য অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকের ফি যথাক্রমে ১ হাজার, ৮০০ ও ৬০০ টাকা। শুধু তাই নয় হাসপাতালটিতে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্ট দেখাতে চাইলেও চিকিৎসকদের সমপরিমাণ ফিই দিতে হয়।
এ অর্থ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পাবে ১০০ টাকা। এত উচ্চ ফি দিয়ে রোগীরা কেন এখানে চিকিৎসা নিতে আসবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এই হাসপাতালের আয় দিয়েই কর্মী-স্টাফদের বেতন দিতে হয়। এটা তো আউটডোর না। ইনডোর চিকিৎসাসেবা। এখানে একটু আলাদা যতœ দিয়ে রোগী দেখা হবে। এটাই স্বাভাবিক। পার্শ্ববর্তী বিএসএমএমইউ’র তুলনায় এখানে আসা রোগীর সংখ্যা এত কম কেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের মোট ১৮শ’ জন জনবল প্রয়োজন। নেওয়া হয়েছে ৪শ জনের মতো। যেহেতু এখন রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন এসেছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
আশা করছি এবার অন্তত এখানে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা যায়, ৭৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির অর্থায়ন করেছে কোরিয়ান কোম্পানি। বিশাল এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। তবে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে হাসপাতাল নির্মাণ, পরামর্শ ব্যয়, যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ অন্যান্য বাবদ ১ হাজার ৪৭ কোটি ঋণ দেয় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল এক্সিম ব্যাংক।
কোরিয়া থেকে যন্ত্রপাতি আনতে কাস্টমস ডিউটি ও ইনকাম ট্যাক্স বাবদ ৩৩৮ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। হাসপাতাল নির্মাণের জায়গা দিয়েছে বিএসএমএমইউ। এর মূল্য ধরা হয় ১৭০ কোটি টাকা। সেন্টার বেইজড এই হাসপাতালটির সব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোম্পানি স্যামসাং।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাসপাতালটি চালু হলেও এখানে দেখাতে হলে বেসরকারি হাসপাতালের মতোই উচ্চ ফি দিতে হয় উল্লেখ করে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সবুজ মিয়া বলেন, মনে করেছিলাম এটি সরকারি হাসপাতাল। তাই ফি কম হবে। কিন্তু কিসের কি? এখানে এসে দেখি একজন সহকারী অধ্যাপকের ফি সকালে ৩০০ আর বিকেলে ৬০০। একইভাবে সহযোগী অধ্যাপক সকালে নেন ৪০০ টাকা আর বিকেলে ৭০০ টাকা।
আর অধ্যাপক দেখাতে গেলে দিতে হবে সকালে ৬০০ আর বিকেলে ১০০০ টাকা। তাহলে ঝক্কি-ঝামেলা নিয়ে এখানে দেখাব কেন? কোনো বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েই দেখাব। একই রকম অভিজ্ঞতার কথা জানান গোড়ান থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আনিসুর রহমানও। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসের রোগী আমি। বারডেমে নিয়মিত দেখাই।
কিন্তু সুপার স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের এত নাম শুনেছি যে মনে হলো এখানে আসলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে। কিন্তু এত টাকা খরচ করে এই হাসপাতালে দেখানোর চাইতে ল্যাব-এইড বা অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে দেখাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, চিকিৎসা কার্যক্রম না থাকলেও এখানে রয়েছে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড সেন্টার। যেখানে মা ও শিশু সম্পর্কিত সবধরনের রোগ এবং সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। একইভাবে হেপাটাইটিস, গ্যাস্ট্রোলজি সম্পর্কিত সব রোগেরই চিকিৎসা পাওয়া যাবে হেপাটোবিলিয়ারি এবং গেস্ট্রোএন্ট্রোলজি সেন্টারে। আর অ্যাক্সিডেন্টাল ইমার্জেন্সি সেবার ব্যবস্থা রয়েছে সবার জন্য। যে কোনো দুর্ঘটনাজনিত রোগীদের সেবা দেওয়ার কথা রয়েছে এখানে। রয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ১০০টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউও।
তাই সাধারণ রোগীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি, বিএসএমএমইউ যদি হাসপাতালটি পরিচালনায় ব্যর্থ হয় তাহলে সরকার যেন এটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত করে নেয়। এতে করে সাধারণ মানুষ অন্তত উপকৃত হবে। তবে হাসপাতালটি নিয়ে নতুন কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চেয়ে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এমনকি তার কক্ষেও একাধিকবার গিয়ে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি ব্যস্ত আছেন বলেও জানা গেছে।