ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

সংস্কারের অভাবে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সড়ক বেহাল

​​​​​​​নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংস্কারের অভাবে ঠাকুরগাঁও  পৌরসভার সড়ক বেহাল

খানাখন্দে ভরা সড়ক

কথায় আছে বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। তেমনি অবস্থা ঠাকুরগাঁও পৌরসভার। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ১২টি ওয়ার্ডের এমন কোনো সড়ক নেই যে সড়কের পিচ ঢালাইসহ ইটের খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দকে মরণফাঁদ তৈরি হয়নি। শুধু তাই নয় সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় শহরের প্রবেশমুখে সড়কের পাশর্^বর্তী স্থানসহ বাসাবাড়ির আশপাশে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ করায় পরিবেশ পড়েছে চরম হুমকির মুখে। ছাড়াও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে নাজেহাল অবস্থা পৌরবাসীসহ সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণের।

১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকেশ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। পৌরসভার ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে পাকা করা হয়েছে ৮৫ কিলোমিটার ৫০ কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা রয়ে গেছে। ৮৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক হলেও এসব সড়কের প্রায় ৮০ শতাংশেরই বেহাল অবস্থা।

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এবারের বর্ষা মৌসুমে সড়কগুলোর ঢালাই ইট উঠে গিয়ে ছোটবড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘ ১০-১৫ বছর ধরে দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে পৌরসভার রাস্তাঘাটের অবস্থা ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এতে চলাচল করতে দুর্ঘটনার শিকারসহ সামান্য বৃষ্টিপাতে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ড্রেনের পানি বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে। এমন অপরিচ্ছন্ন নোংরা পরিবেশে বসবাসে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীদের। বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, শুধু আমাদের আশ্রমপাড়ায় না ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের প্রতিটি সড়কের বেহাল দশা। আশ্রমপাড়ায় আমার বাসার সামনের সড়কটি দেখে মনে হয় না এটা পাকা। সড়কে সবকিছু উঠে গিয়ে এখন কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। আর সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান পানি জমে থাকে রাস্তায়। দুর্নীতির কারণে আজকে পৌরসভার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ড্রেন ময়লা-আবর্জনার স্তূপ দিয়ে এমন অবস্থা। আমরা এগুলোর দ্রুত সংস্কার দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই।

দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, আমি যোগদানের পর দেখি যে, পৌরসভার রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। ইতোমধ্যে আমরা রাস্তাগুলো শনাক্ত করেছি সংস্কার এবং নির্মাণ কাজের সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে যেন কাজগুলো করতে পারি সেই চেষ্টা করছি।

সড়কে ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল থেকে জানান, চরম দুর্ভোগে কাদামাটি মাড়িয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হয় দুই গ্রামের হাজারো মানুষকে। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ এই সড়কটি দেখে মনে হয় যেন ধানক্ষেত। বর্ষা মৌসুম এলেই সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটির এমন দশা হয়। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। সড়কটি পাকাকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ জনপ্রতিনিধিরাও প্রতিশ্রুতি দিলেও নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

তাই সড়কটি সংস্কারের দাবিতে ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা গেছে, গারুড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবপুর খানবাড়ি থেকে ভূঁইয়াবাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে সাহেবপুর খয়রাবাদ দুই গ্রামের মানুষকে কাদাভর্তি সড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তাটিতে ইটের ছোঁয়া না লাগায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। বিকল্প কোনো পথের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটুসমান কাদাভর্তি সড়কে চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, বৃদ্ধসহ সবাইকে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীরা। উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, সড়কটিতে গত বছর মাটির কাজ করা হয়েছে।

×