ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব

এবার সমন্বয়কের ওপর সমন্বয়কের ‘হামলা’

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এবার সমন্বয়কের ওপর সমন্বয়কের ‘হামলা’

সদর হাসপাতাল

বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আরেক সমন্বয়ক মীর নীলয় গ্রুপের বিরুদ্ধে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকায় ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের প্রতিনিধির বরগুনায় সফর করার কথা ছিল। তাই এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার রাতে বরগুনার সমন্বয়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মীর নীলয় ও মুহিত নীলয়ের নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপ সেখানে যায়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে মীর নীলয় ও মুহিত নিলয়ের গ্রুপ বের হয়ে পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে রেজাউল করিমের গ্রুপ কাঠপট্টি এলে তাদের ওপর হামলা চালায় নীলয়ের গ্রুপ।

এই হামলায় সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চার জন আহত হয়। পরে ওই রাতে সদর থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। আহত রেজাউল করিম ও আরিফকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান।

এ বিষয়ে সমন্বয়ক রেজাউল করিম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে পড়ে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী। মীর নিলয়, মুহিত নিলয়, সাজিদ, মাহিদ ও মুভিনসহ আরো কিছু ছাত্রলীগ কর্মী গত রাতে আমার ওপর হকিস্টিক নিয়ে অতর্কিত হামলা করেছে। এতে আমিসহ চারজন আহত হই। এ ঘটনায় আহত আরিফ সদর থানায় অভিযোগ করেছে।’হামলার বিষয়টি মীর নীলয় ও মুহিত নীলয় অস্বীকার করে বলেন, মারধরের বা হামলার কোন প্রমাণ থাকলে ওদের দেখাতে বলেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরও দুজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছেন। এ ঘটনায় আহত আরিফ থানা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

শহিদ

×