ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

টেন্ডার ছাড়াই ২০৭ কোটি টাকার কাজ বিদেশী কোম্পানি ওরাকলকে দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ডেটা নথি সিঙ্গাপুরে!

রহিম শেখ

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ডেটা নথি সিঙ্গাপুরে!

দেশে নেই দেশের সরকারি ডেটা-নথি

দেশে নেই দেশের সরকারি ডেটা-নথি। এক ‘অদৃশ্য কারণে’ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এসব ডেটা দেশের বাইরে। আর এটি ঘটানো হয়েছে বেশ গোপনীয়তার সঙ্গেই। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দেশের জাতীয় টায়ার ফোর ডেটা সেন্টারে কী এমন ঘটল বা ঘটানো হলো যে, রাষ্ট্রীয় এমন ডেটা বিদেশী কোম্পানি ওরাকলকে ডেকে এনে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে দিতে হলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো রকম প্রতিযোগিতা ছাড়াই জাতীয় ডেটা সেন্টারের জন্য ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকলকে ক্লাউড সেবার দায়িত্ব দিয়েছিল সরকার। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে দেওয়া এই কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার কথা এক কোটি ৮০ লাখ ডলার। সেই সময়ের দর অনুযায়ী, ২০৭ কোটি টাকার বিনিময়ে তিন বছর ক্লাউড সেবা দেওয়ার কথা ওরাকলের।

তবে রহস্যজনক কারণে চুক্তি স্বাক্ষরের আড়াই বছর পর ক্লাউড সেবা চালু করে ওরাকল। বাছবিচার ছাড়াই ভিনদেশী প্রতিষ্ঠানকে দেশের তথ্য সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। একইসঙ্গে পলকের ঝলকে বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার হয়েছিল দুর্নীতির আখড়া।

জানা যায়, ২০২০ সালের দিকে সরকারি সংস্থাগুলোর উপাত্ত সংরক্ষণে সরকারের একটি কেন্দ্রীয় ক্লাউড সেবা ব্যবস্থার প্রয়োজন দেখা দেয়। এর আগে সংস্থাগুলো নিজেদের মতো অর্থ খরচ করে ক্লাউড সেবা নিত। সেই সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে ক্লাউড ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা নেয়। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ক্লাউড ব্যবস্থা তৈরি করে সরকারি সংস্থাগুলোকে ভাড়ায় দিয়ে অর্থ উপার্জন এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়।

এমন একটি ক্লাউড সেবার প্রস্তাব সে সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীন জাতীয় ডেটা সেন্টারকে (এনডিসি) দেয় ওরাকল। তবে বিসিসির তৎকালীন পরিচালক তারিক এম বরকতউল্লাহ সেই প্রস্তাব ঘুরিয়ে দেন বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) দিকে।
সূত্র বলছে, পলককে প্রভাবিত করে ডেটা সেন্টারে ওরাকলের ক্লাউড ব্যবস্থা স্থাপনের মূল ‘মাস্টারমাইন্ড’ এই তারিক বরকতউল্লাহ। প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির সদস্যরা এই ক্লাউড সেবার বিরুদ্ধে মত দিয়েছিলেন। শুধু তারিক বরকতউল্লাহ ওই কমিটির প্রতিবেদনে এককভাবে ভেটো দেন। পরবর্তী সময়ে পলকের সরাসরি হস্তক্ষেপে ওরাকলের সঙ্গে বিডিসিসিএল ‘ডেডিকেটেড রিজিওনাল ক্লাউড’ স্থাপনে চুক্তিবদ্ধ হয়।

এই ক্লাউড থেকে তিন বছরের সেবা নিতে মোট ব্যয় ধরা হয় এক কোটি ৮০ লাখ ডলার। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে যথাক্রমে ৩০, ৬০ এবং ৯০ লাখ ডলার পরিশোধ করার কথা বিডিসিসিএলের। অবশ্য চুক্তির এক কোটি ৮০ লাখ ডলারের কোনো অংশ এখনো ওরাকলকে দিতে হয়নি। বাংলাদেশী মুদ্রায় সেই সময়ের দর অনুযায়ী ২০৭ কোটি টাকা। তবে আগামীতে এই অর্থ পরিশোধ হলে পলক সিন্ডিকেটের কমিশন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো রকম প্রতিযোগিতামূলক অথবা আন্তর্জাতিক টেন্ডার ছাড়াই ‘ডিরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে (ডিপিএম)’ ওরাকলকে কাজটি দিয়েছেন পলক। তবে ৪৯ কোটি টাকা মূল্যের বেশি দরপত্র একনেকে পাস করিয়ে নেওয়ার নিয়মও ওরাকলের ক্ষেত্রে কৌশলে এড়িয়েছেন পলক। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিডিসিসিএলের সরাসরি ক্রয় ক্ষমতার সুযোগ নিয়েছেন তিনি।
একটি সূত্রের তথ্য মতে, ক্লাউড হয়ত প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এমন সেবা দেয় সে রকম আরও প্রতিষ্ঠান ছিল। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা যেত। সেই সময়কার পর্ষদের আরেক সদস্য বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলক বোর্ডসভায় উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করছিলেন যে, ওরাকলের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে দেরি হচ্ছিল কেন। সবশেষে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ওরাকলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করে বিডিসিসিএল।

অবশ্য গত মে মাসে অর্থাৎ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় আড়াই বছর পর এই ক্লাউড চালু করে ওরাকল। গত ৬ মে সালমান এফ রহমানের উপস্থিতিতে পাঁচতারকা হোটেলে বেশ জাঁকজমকভাবে এর উদ্বোধন হয়। চুক্তির পর থেকেই ওরাকলের সিঙ্গাপুর ক্লাউডে উপাত্ত সংরক্ষণ শুরু করে বিডিসিসিএল। 
এসব কর্মকা-ের প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, ওরাকলের বাংলাদেশে ক্লাউড স্থাপন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সিঙ্গাপুর থেকে উপাত্ত দেশে ফিরিয়ে আনলেই উপাত্ত সুরক্ষা আইন পাস করতেন তিনি। তবে ওরাকলের যন্ত্রাংশ আমদানিবিষয়ক জটিলতায় বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়। এই যন্ত্র আমদানিতেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন পলক।

ওরাকলের ক্লাউড বসবে গাজীপুরের হাইটেক পার্কে অবস্থিত বিডিসিসিএল ডেটা সেন্টারে। নিয়ম অনুযায়ী, হাইটেক পার্কের বিনিয়োগকারীরা বিনাশুল্কে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারে। পলকের পরামর্শে ওরাকল কাস্টমসকে ফাঁকি দিয়ে বিনাশুল্কে ক্লাউড যন্ত্রাংশ খালাসের চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি ধরা পড়ায় কাস্টমস যন্ত্রাংশগুলোর খালাস আটকে দেয়। পরে মোটা অঙ্কের রাজস্ব দিয়েই যন্ত্রাংশ খালাস করে ওরাকল।

এজন্য পলক নিজের কমিশনে কিছুটা ছাড় দিয়েছিলেন বলেও বিডিসিসিএলে প্রচলিত রয়েছে। আর পলকের পক্ষে এসব লেনদেন দেখভাল করতেন তার এক সময়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইকরামুল হক। বিশ্বস্ততার পুরস্কারস্বরূপ, ১৬ হাজার টাকার বেতন স্কেলের ইকরামকে সরাসরি ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলে বিডিসিসিএলের ব্যবস্থাপক (লজিস্টিকস) পদে বসান পলক।

এ বিষয়ে ওরাকলের বক্তব্য জানতে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রুবাবা দৌলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এরপর জনসংযোগ শাখার সংশ্লিষ্ট কেউ আর যোগাযোগ করেননি। 
বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার হয়েছিল দুর্নীতির আখড়া : গত সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঝলকে বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার হয়েছিল দুর্নীতির আখড়া। বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানির অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া সচিব এ কে এম লতিফুল কবির ছিলেন লুটপাটের প্রধান কারিগর। তিনি পলকের ফাইন্যান্সার হিসেবেও পরিচিত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেটা সেন্টার প্রকল্পে সিস্টেম এনালিস্ট পদে দায়িত্ব পালনের সময় লতিফুল কবির প্রতিমন্ত্রীর নজর কাড়েন। সেই থেকে দ্রুতই ফোর টায়ার ডেটা সেন্টারের কর্তাব্যক্তিতে পরিণত হন তিনি। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রকল্পের যাবতীয় অবৈধ কর্মকা-ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে কবিরের নাম।

প্রকল্পের সকল ঠিকাদার, সাপ্লায়ার, সাব-কন্ট্রাক্টরের কাছ থেকে প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে নিয়ম করে টাকা আদায় করতেন তিনি। সামান্য সিস্টেম এনালিস্ট পদে থাকা অবস্থায় ঢাকার অভিজাত এলাকায় একাধিক নিজস্ব ফ্ল্যাট, গাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যান তিনি। বর্তমানে তিনি মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইসিটি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের অবৈধ আয়ের একটা অংশ প্রতিমন্ত্রী পলকের কাছে চলে যেত। ফলে তার সকল অপকর্ম আড়াল হয়ে যেত। প্রকল্প সমাপ্তির পরে ডেটা সেন্টার কোম্পানিতে ব্যবস্থাপক জেনারেশন সিস্টেম পদে পদায়ন করা হয়। এরপর থেকে তার দুর্নীতির নতুন মাত্রা যোগ হয়। কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সকল ভে-র ও সাপ্লায়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে তার সরাসরি হস্তক্ষেপ ছিল বলে জানা যায়।

এ কে এম লতিফুল কবিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে গত ২২ আগস্ট তাকে নিজ পদ থেকে দায়িত্ব পালনে বিরত থাকতে বলা হয়। আইসিটি ডিভিশনের উপ-সচিব জিল্লুর রহমানের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ওই নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এদিকে জুনাইদ আহমেদ পলকের সুবিধাভোগীদের আরেকজন হচ্ছেন ইরেশ সারোয়ার। তিনিও ফোর টায়ার জাতীয় ডেটা সেন্টার প্রকল্পে সিস্টেম এনালিস্ট পদে থাকা অবস্থায় লতিফুল কবিরের সকল অপকর্মের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। দু’জনই একই পদবিধারী হওয়ায় যৌথভাবে পলকের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, ব্যবস্থাপক ইরেশ সারোয়ার একাধিক দেশের (বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া) পাসপোর্ট সংরক্ষণ করছেন অর্থাৎ দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন, যা ডেটা সেন্টারের মতো একটি স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এমনকি অস্ট্রেলিয়াতে ইরেশ সারোয়ারের নিজ নামে লাইসেন্সকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানা যায়। এটি বিডিসিসিএলের নিয়োগবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রতিমন্ত্রী পলক গ্রেপ্তার হলেও এখনো ধরা পড়েনি তার সুবিধাভোগীদের একটি বিশাল অংশ।

এদের মধ্যে ইরেশ সারোয়ার অন্যতম। তিনি বিডিসিসিএলের বোর্ড মেম্বার রকিব আহমদের ঘনিষ্ঠজন, যিনি স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বিডিসিসিএলে বোর্ড মেম্বার হিসেবে আছেন। তিনি তথাকথিত কেজেএস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের পরিচালক বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
সূত্র জানায়, এই রকিব আহমদ পলকের পক্ষে ডেটা সেন্টারের সকল আর্থিক অনিয়মের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতেন। অর্থাৎ ইরেশ সারোয়ার এই রকিব আহমদকে দিয়েই তার আর্থিক স্বার্থ আদায় করে থাকেন। কোনো প্রকার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা বিবেচনায় না নিয়ে শুধু পলকের নির্দেশে এই রকিব আহমদকে বোর্ড ডিরেক্টর করা হয়।

হাসিনা সরকারের পতন এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের গ্রেপ্তারের পরে তথাকথিত বোর্ড মেম্বার রকিব আহমদ পলাতক আছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ইরেশ সরোয়ার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে যে কেউ অভিযোগ করতে পারেন, কিন্তু ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব অভিযোগ করা হয়েছে। আসলে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিচয়ও পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তা আসলে দুর্ভাগ্যজনক বলে তিনি দাবি করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের বোর্ড পরিচালক রাকিব আহমেদ বলেন, পলক যদি কোনো অন্যায় করে থাকে তবে তার দায়-দায়িত্ব আমার না। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, এখানে একজন বোর্ড পরিচালক হিসেবে কাজ করছি। আসলে বোর্ড মিটিং ছাড়া কোম্পানিতে তেমন একটা যাওয়া হয় না।

বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক কোম্পানি সচিব এ কে এম লতিফুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি।
জানতে চাইলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন জনকণ্ঠকে জানান, যে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সোচ্চার রয়েছে। কেউ দুর্নীতি ও অনিয়ম করে থাকলে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেন তিনি জানান।

×