ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১

মুহূর্তে ১৩০ মিটার বিলীন

ভৈরবে মেঘনার ভাঙনে হুমকিতে সার গুদাম রেলসেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:০১, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভৈরবে মেঘনার ভাঙনে হুমকিতে সার গুদাম রেলসেতু

মেঘনার ভাঙনে হুমকিতে যমুনা অয়েল ডিপো

রবিবার ভোরে ভৈরবের মেঘনা নদীতে ভাঙনে ১৩০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বিএডিসির দুটি সার গুদাম ও অফিস, যমুনা অয়েল কোম্পানির তেলের ডিপো এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সেতু।
এলাকাবাসী জানায়, ভোর তিনটার দিকে নদীর পাড়ের রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন সার গুদাম ও যমুনা তেলের ডিপো এলাকায় ভাঙনের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় বিএডিসির সার গুদামের সামনে দরিদ্রদের বসতবাড়ি ১৫/২০টি ঘর ও যমুনা অয়েল কোম্পানির একটি অফিসের অর্ধেক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রেদোয়ান আহমেদ রাফি, কিশোরগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল গনি, বিএডিসি (সার)  কিশোরগঞ্জের যুগ্ম-পরিচালক ইকবাল মোহাম্মদ মোত্তাকিন, যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক এলাহী, ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার মো. শহীদুল্লাহ, ভৈরব পুলিশ সার্কেলের এএসপি মো. দেলোয়ার হোসেন খান, থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নদীর পাড়ের বাসিন্দা পিয়ারা বেগম বলেন, রাত তিনটার দিকে লোকজনের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ঘরের অর্ধেক নদীগর্ভে চলে গেছে। এ সময় কোনো রকম জীবন নিয়ে পরিবারসহ ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণ বাঁচাই। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল গনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে নদী এলাকা  পরিদর্শন ও পরীক্ষা করে জেনেছি ১৩০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন এলাকায় নদীর গভীরতা ৫/৭ মিটার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে  ভাঙনরোধে  আমরা  বিকেল থেকে জিও (বালির বস্তা) ফেলা শুরু করেছি।

×